ভারতের প্রাক্তন অলরাউন্ডার রবিচন্দ্রন অশ্বিন (Ravichandran Ashwin) টেস্ট ক্রিকেটে বিরাট কোহলির অবসর নিয়ে চলা আলোচনায় দৃঢ় মত প্রকাশ করেছেন। আধুনিক যুগে টেস্ট ক্রিকেটের শ্রেষ্ঠ প্রতিনিধি হিসেবে বিবেচিত কোহলি, টি-টোয়েন্টি ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটের উত্থানের মধ্যেও এই ফরম্যাটের প্রতি ভক্তদের আকর্ষণ ধরে রেখেছিলেন। তবে তার অবসর ভারতীয় দলে এবং টেস্ট ক্রিকেটের আকর্ষণে সাময়িক শূন্যতা তৈরি করলেও অশ্বিন মনে করেন, এটি টেস্ট ক্রিকেটের ক্ষতি নয়।
অশ্বিন বিশ্বাস করেন, কোনো একজন খেলোয়াড় টেস্ট ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করেন না। তিনি স্পষ্ট করে বলেন, খেলার চেয়ে কেউ বড় নয়, এমনকি কোহলিও নন। তিনি বলেন, খেলাই খেলোয়াড়দের ক্যারিয়ার গড়ে, খেলোয়াড়রা খেলাকে বিখ্যাত করে না। কোহলি অসাধারণ উত্তরাধিকার রেখে গেছেন, কিন্তু অশ্বিন জোর দিয়ে বলেন, টেস্ট ক্রিকেট বাঁচিয়ে রাখার দায়িত্ব কোনো একজনের নয়। খেলোয়াড়রা আসে-যায়, কিন্তু টেস্ট ক্রিকেটের আত্মা অমর, যা পরবর্তী প্রজন্ম মাঠে বহন করে।
রেভস্পোর্টজের উদ্ধৃতিতে অশ্বিন বলেন, “আমি মনে করি না কেউ খেলার চেয়ে বড়। যিনি মাঠে খেলেন, তিনি খেলার জন্য ভালো-খারাপ করেন না, খেলাই তাদের জন্য ভালো-খারাপ করে। আমি বিরাটকে ভালোবাসি, তিনি এসেছেন, খেলেছেন, খেলা ছেড়েছেন এবং এটিকে দারুণ অবস্থায় রেখে গেছেন। এখন অন্য কারো দায়িত্ব এটি এগিয়ে নেওয়া।”
অশ্বিন তরুণ ভারতীয় খেলোয়াড়দের, বিশেষ করে শুভমন গিল, ঋষভ পান্ত, যশস্বী জয়সওয়াল এবং ধ্রুব জুরেলের প্রতি আহ্বান জানান, সচিন তেন্ডুলকর ও কোহলির উত্তরাধিকার এগিয়ে নিতে। গিলের নেতৃত্বে এবং পান্তের সহ-অধিনায়কত্বে তিনি তাদের মাঠে একই আবেগ ও তীব্রতা দেখতে উৎসাহী। তিনি বলেন, “এখন গিল, পান্ত, জয়সওয়াল ও জুরেলের মতো প্রতিভার মনোভাব দেখার সময়। তারা কি কোহলি ও তেন্ডুলকরের তীব্র শক্তি পুনরাবৃত্তি করতে পারবে? তবে দলের সবার দায়িত্ব এই শক্তি দেখানো।”
আসন্ন ভারত-ইংল্যান্ড পাঁচ ম্যাচের টেস্ট সিরিজ নিয়ে অশ্বিন উৎসাহিত। তিনি সাই সুদর্শনের সম্ভাব্য টেস্ট অভিষেকের কথা উল্লেখ করেন, যিনি আইপিএলে স্টার্ক, রাবাদা, কামিন্স, কোয়েটজি ও হ্যাজলউডের মতো পেসারদের মোকাবিলা করেছেন। সুদর্শনের সারে-তে কাউন্টি ক্রিকেটের অভিজ্ঞতা তাকে ইংলিশ কন্ডিশনে মানিয়ে নিতে সাহায্য করবে। অশ্বিন মনে করেন, আইপিএল তরুণদের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়েছে। তিনি এই সিরিজে ভারতীয় ও ইংলিশ খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্স দেখতে উদগ্রীব।