শেষ মরসুম থেকেই আইলিগে অংশ গ্ৰহন করছে ইন্টার কাশী ফুটবল ক্লাব। প্রথমদিকে বেগ পেতে কিছুটা সময় লাগলেও পরবর্তীতে দুরন্ত ছন্দে ধরা দেয় বারাণসীর এই ফুটবল ক্লাব। চূড়ান্ত সাফল্য না আসলেও মরসুম শেষে পয়েন্ট টেবিলের চতুর্থ স্থানে শেষ করে এই ফুটবল ক্লাব। কিন্তু সেইসব এখন অতীত। নয়া সিজনে দুরন্ত পারফরম্যান্স করে সাফল্য পাওয়াই মূল লক্ষ্য বারাণসীর এই ফুটবল ক্লাবের। সেইমতো এবার আন্তোনিও লোপেজ হাবাসের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে দলের দায়িত্ব।
তাঁর নির্দেশ মতোই দল গঠনের কাজ করেছে ম্যানেজমেন্ট। যেখানে বিদেশি ফুটবলারদের পাশাপাশি দেশীয় ব্রিগেডে ও রয়েছে চমক। মূলত তরুণ প্রতিভাদের আনা হয়েছে স্কোয়াডে। এছাড়াও ফিনল্যান্ডের তারকা ফুটবলার জনি কাউকো ও এবার যোগদান করেছেন আইলিগের এই ফুটবল ক্লাবে। নিঃসন্দেহে যা বিরাট চমক। উল্লেখ্য, গত আইএসএল সিজনের মাঝামাঝি সময় হুয়ান ফেরেন্দোর পরিবর্তে হাবাসের হাতেই দায়িত্ব তুলে দিয়েছিল সবুজ-মেরুন ম্যানেজমেন্ট। তাঁর তত্ত্বাবধানেই সেবার খাদের কিনারা থেকে ঘুরে দাঁড়িয়েছিল বাগান ব্রিগেড। একটা সময় টানা তিনটি ম্যাচ হেরে পয়েন্ট টেবিলের অনেকটাই নিচে নেমে গিয়েছিল কলকাতা ময়দানের এই প্রধান।
কিন্তু হাবাসের সক্রিয়তায় বদলে যায় গোটা পরিস্থিতি।সেই মরসুমে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে পিছিয়ে থেকেও জয় নিশ্চিত করেছিল মোহনবাগান (Mohun Bagan)। এমনকি দুইটি লেগেই তাঁরা আটকে দিয়েছিল চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ক্লাব ইমামি ইস্টবেঙ্গলকে। যা নিঃসন্দেহে অনেকটাই আত্মবিশ্বাস বাড়িয়েছিল দলের ফুটবলারদের। সেবার আইএসএল চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সম্ভব না হলেও মুম্বাই সিটিকে পরাজিত করে অনায়াসেই লিগ শিল্ড চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ময়দানের এই প্রধান। যারফলে প্রথমবারের জন্য এএফসি চ্যাম্পিয়নস লিগ টায়ার টু খেলার ছাড়পত্র পেয়েছিল মোহনবাগান।
পরবর্তীতে এই স্প্যানিশ কোচের সঙ্গেই নাকি চুক্তি বাড়ানোর পরিকল্পনা ছিল সবুজ-মেরুন ম্যানেজমেন্টের। সেইমতো আইএসএল শেষ হওয়ার পর প্রিয় দলের ডাক পাওয়ার অপেক্ষায় ছিলেন হাবাস। কিন্তু এক মাস অপেক্ষা করার পরে ও তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করেনি মোহনবাগান। পরিবর্তে তাঁকে বিদায় জানিয়ে জোসে মোলিনার হাতে তুলে দেওয়া হয় ময়দানের এই প্রধানের দায়িত্ব। যা কিছুটা হলেও নিরাশ করেছিল আইএসএলের অন্যতম সফল এই কোচকে। শেষ পর্যন্ত ভারতে ফিরে আসলেও ইন্টার কাশীর দায়িত্ব গ্ৰহন করেন আন্তোনিও লোপেজ হাবাস।
সেই নিয়েই এবার নাম না করে মোহনবাগানকে খোঁচা দিলেন রঞ্জিত বাজাজ (Ranjit Bajaj)। হাবাস প্রসঙ্গ টেনে নিজের ‘এক্স’ হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন, ” বহু সময় ধরেই আমি যেটা বলছিলাম। কোচ ছাড়ার কারণ ছিল নকলি ডন!! এখন আপনার কাছে প্রমাণ আছে। লোকটিকে বিশ্বাস করতে থাকুন। এভাবে খুব শীঘ্রই অনেক দেরি হয়ে যাবে। আপনি যখন ভুল মানুষকে সীমাহীন জবাবদিহিতাহীন ক্ষমতা দেবেন শীঘ্রই সব কিছু তাসের ঘরের মতো পড়ে যাবে।” তাঁর এই মন্তব্য রীতিমতো শোরগোল ফেলে দিয়েছে ফুটবলপ্রেমীদের মধ্যে।