ফের শুরু East Bengal বনাম Shree Cement যাত্রাপালা ?

গত বছরের মতই একই পরিস্থিতি এসসি ইস্টবেঙ্গলের (SC East Bengal)। মরশুম শেষ হওয়ার পরেই একের পর এক খেলোয়াড়রা ছাড়তে চলেছেন এসসি ইস্টবেঙ্গলে। তবে শোনা যাচ্ছে…

গত বছরের মতই একই পরিস্থিতি এসসি ইস্টবেঙ্গলের (SC East Bengal)। মরশুম শেষ হওয়ার পরেই একের পর এক খেলোয়াড়রা ছাড়তে চলেছেন এসসি ইস্টবেঙ্গলে। তবে শোনা যাচ্ছে আগামী মরশুমে ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য অলআউট চেষ্টা করবেন লাল-হলুদ কর্তারা। এদিকে ইনভেস্টর শ্রী সিমেন্ট (Shree Cement) আর পরের মরশুমে থাকবে কি না, গত মরশুমের মতই তা অনিশ্চিত হয়ে রয়েছে। আর সেই কারণে, খেলোয়াড়দের ধরে রাখার বিষয়েও খুব একটা গুরুত্ব দিতে চাইছে না লগ্নিকারী সংস্থা, যেমনটা হয়েছিল গতবারেও।

বাংলাদেশের বসুন্ধরা সংস্থা ছাড়াও ভারতের দু, তিনটে সংস্থার সঙ্গে ইস্টবেঙ্গলের আলোচনার কথা শোনা যাচ্ছে। ইস্টবেঙ্গলের মত সমর্থক ভিত্তিক ঐতিহ্যশালী দলকে আইএসএলে রাখতে মরিয়া রিলায়েন্স আইএমজি কর্তারা। সেক্ষেত্রে লাল হলুদের স্পনসর পাওয়ার ব্যাপারটা তারাও দেখতে পারেন। এদিকে জানা যাচ্ছে শনিবার সকালে ক্লাবের এক শীর্ষকর্তার সঙ্গে সরাসরি কথা বলেন হরিমোহন বাঙ্গারের এক প্রতিনিধি।

   

তিনি পরিস্কার জানান যে শ্রী সিমেন্ট কোনোভাবেই ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের সঙ্গে সম্পর্ক ছেদ করতে চান না. এবং আলোচনার রাস্তা সম্পূর্ণ ভাবে খোলা আছে. কিন্তু যারা প্রতি বছর প্রায় ৬৫ কোটি টাকা লগ্নি করবে তাদের মতামতকে গুরুত্ব দিতেই হবে. ক্লাব কর্তারা বসে বসে বোরো বোরো কথা বলবেন, এজেন্টের মাধ্যমে বাতিল খেলোয়াড় ঢোকানোর চেষ্টা করবেন আর সেখান থেকে দালালি খাবেন ওসব চলবে না. এদিকে সূত্রের খবর, একাধিক ইস্টবেঙ্গল ফুটবলাররা ইতিমধ্যেই নতুন ক্লাবের অফার পেয়েছে। এসসি ইস্টবেঙ্গলের দুই বঙ্গতনয় সৌরভ দাস ও মহম্মদ রফিককে ইতিমধ্যেই অফার দিয়েছে চেন্নাইন এফসি। এই তিন ফুটবলারই শুধু নয়, আরও একাধিক খেলোয়াড়ও পাচ্ছেন একাধিক অফার।

এই পরিস্থিতিতে ফ্রি এজেন্ট হিসেবে একাধিক ফুটবলারদের তুলে নিতে চাইবে আইএসএলের বাকি ফ্র্যাঞ্চাইজিরা। পাশাপাশি আদৌ ইস্টবেঙ্গল তাদের চুক্তিবৃদ্ধি করবে কিনা, এই অনিশ্চয়তায় থাকতে চাইছে না ফুটবলাররা।

তবে ইস্টবেঙ্গলের কর্তাদের সঙ্গে আরও একবার কথা হয়েছে শ্রী সিমেন্ট কর্তৃপক্ষের। ম্যানেজিং ডিরেক্টর হরিমোহন বঙ্গুর জানিয়েছেন তারা ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গে আগামী দিনের পথ চলতে রাজি। কিন্তু কিছু বিষয় আলোচনা করতে হবে। ব্যক্তিস্বার্থ নয়, কোম্পানি এবং দলের স্বার্থ সবার আগে দেখবেন জানিয়েছেন তিনি। ইস্টবেঙ্গল কর্তারা বলছেন দরজা পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়নি বর্তমান ইনভেস্টরদের সঙ্গে।