এশিয়া চ্যাম্পিয়নের গৌরব হাসিল হয়েছে। এবার আয়োজক দেশ হিসেবে ফিফা বিশ্বকাপ (Qatar WC 2022) খেলতে নামছে (Qatar) কাতার। রাজধানী শহর দোহা এমনিতেই বিশ্ব প্রসিদ্ধ। এই শহরের ঝাঁ চকচকে চেহারার সঙ্গে মানানসই বিশ্বকাপ উদ্বোধনী অনুষ্ঠান যেমন হবে তেমনই থাকছে আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক ছলাকলা। কারণ, দোহা শহরে আছে তালিবান জঙ্গি সংগঠনের অত্যাধুনিক কর্পোরেট দফতর। মাঠের খেলা মাঠে হবে। আর হবে ফুটবল কূটনীতি।
আফগানিস্তানের শাসক এখন তালিবান জঙ্গিরা। তারা দ্বিতীয় দফায় আফগান মসনদে বসার দিন অর্থাত ২০২১ এর ১৫ আগস্ট কাতারের রাজধানী দোহা থেকে থেকেই উড়েছিল বিশেষ বিমান। সেই বিমানে কাবুল পৌঁছায় জঙ্গি নেতারা। ততক্ষণে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তাদের নিয়ন্ত্রন ছেড়ে দিয়েছে। আফগানিস্তানকে ফের তালিবান দখলে তুলে দিতে পুরো কূটনৈতিক প্রক্রিয়াটি হয় দোহা শহর থেকে।
তালিবান নেতৃত্বের হয়ে কাতারের আমির তামিম বিন হামাদ আল থানি (Tamim bin Hamad Al Thani) বারবার আন্তর্জাতিক মঞ্চে বার্তা দিয়েছেন। মনে করা হচ্ছে তাঁর তরফে তালিবান নেতারা পাবেন বিশেষ আমন্ত্রণ। সেই আমন্ত্রণপত্র নিয়েই দোহা শহরের জঙ্গি সদর দফতর থেকে বের হবে কয়েকটি গাড়ি। এতে থাকবে স্তানিকজাইয়ের মতো তালিবান নেতা। কড়া নিরাপত্তায় সেই গাড়ি যাবে উদ্বোধনস্থলে।
শুরু হবে ফুটবল কূটনীতির নতুন আসর। কারণ, তালিবান এখন আফগানিস্তানের শাসকপক্ষ। রাষ্ট্রসংঘের মঞ্চে তাদের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি এখনও না হলেও বিশ্বজোড়া বন্ধু কম নেই। তাদের সেরা বন্ধু কুবেরের মতো সম্পদশালী কাতার।