World Cup: কলকাতার ময়দানে খেলা ফুটবলারদের দেখা যাবে কাতার বিশ্বকাপে, কারা জানেন?

পাঁচ বছর আগে ভারতের মাটিতে অনূর্ধ্ব-১৭ ফুটবল বিশ্বকাপের স্মৃতি এখনও অমলিন। একগুচ্ছ উঠতি তারকা এসেছিলেন সে বারের বিশ্বকাপে। ভারতের মাটিতে খেলে যাওয়া সেই ফুটবলারদের মধ্যেই…

football-player-who-have-played-in-india-will-be-seen-in-this-world-cup

পাঁচ বছর আগে ভারতের মাটিতে অনূর্ধ্ব-১৭ ফুটবল বিশ্বকাপের স্মৃতি এখনও অমলিন। একগুচ্ছ উঠতি তারকা এসেছিলেন সে বারের বিশ্বকাপে। ভারতের মাটিতে খেলে যাওয়া সেই ফুটবলারদের মধ্যেই কয়েকজন এ বার কাতার মাতাবেন। দেশের জার্সিতে এ বার বড় মঞ্চে সফল হওয়ার চ্যালেঞ্জ।

যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে খেলে গিয়েছিলেন ফেরান তোরেস, ফিল ফডেন, গ্যালাঘার, এরিক গার্সিয়ারা। অ নর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপ (W17 World Cup) ফাইনালে স্পেন-ইংল্যান্ড দ্বৈরথ এখনও ভোলার নয়। ফডেন আর তোরেস দু’জনেই সে বারের দলের প্রধান তারকা। এ বার সিনিয়র দলেও তাঁদের উপরে ভরসা কোচেদের। ভারতে অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপে খেলে যাওয়া ১২ ফুটবলার এ বার কাতারের বিশ্বযুদ্ধে(Qatar Football World Cup নিজেদের দেশের হয়ে নামবেন।

ভারতে খেলে যাওয়া সেই ফুটবলারদের তালিকা এ বার দেখে নেওয়া যাক –

https://video.incrementxserv.com/vast?vzId=IXV533296VEH1EC0&cb=100&pageurl=https://kolkata24x7.in&width=300&height=400

ফিল ফডেন (ইংল্যান্ড)- অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপেই ফুল ফুটিয়েছিলেন ফিল ফডেন। ইংল্যান্ডের আক্রমণভাগের এই ফুটবলার এ বারের বিশ্বকাপে থ্রি লায়ন্সদের অন্যতম ভরসার কেন্দ্র। ক্লাব ফুটবলে ম্যাঞ্চেস্টার সিটির জার্সিতে বিশাল ছাপ রেখেছেন ফডেন। পাঁচ বছর আগে যুব বিশ্বকাপে ভালো পারফর্ম করেই থেমে থাকেননি। সে বারের বিশ্বকাপ ফাইনালে স্পেনের বিরুদ্ধে জোড়া গোল করেছিলেন ফডেন। গ্যারেথ সাউথগেটের দলের প্রথম একাদশেই জায়গা করে নিয়েছেন তিনি। ২০২০ সালে সিনিয়র দলে অভিষেক হয়। দু’বছরের মধ্যেই নিজেকে দলের অন্যতম সেরা ফুটবলার করে তুলেছেন ফিল ফডেন।

কনোর গ্যালাঘার (ইংল্যান্ড)- ঠান্ডা মাথার এই মিডফিল্ডার যুব বিশ্বকাপেই নজর কেড়েছিলেন। এ বার দেশের জার্সিতে কাতার বিশ্বকাপের দলেও ডাক পেয়েছেন। ক্লাব ফুটবলে খেলেন চেলসির হয়ে। মূলত বক্স টু বক্স মিডফিল্ডার হলেও আক্রমণে ধার বাড়াতে সক্ষম। সাউথগেটের প্রথম একাদশে থাকার সম্ভাবনা কম হলেও, রিজার্ভ বেঞ্চে দলের অন্যতম শক্তি।

ফেরান তোরেস (স্পেন)- ভারতে অনুষ্ঠিত যুব বিশ্বকাপে বেশ নজর কেড়েছিলেন ফেরান তোরেস। বিশ্ব ফুটবলে শাসন করার আভাস সে বারই প্রথম দেন স্প্যানিশ অ্যাটাকার। ওই বিশ্বকাপে ২টো গোল করার পাশাপাশি ৩টে অ্যাসিস্টও ছিল তাঁর নামের পাশে। ক্লাব ফুটবলে বার্সেলোনার জার্সিতে বেশ ভালো ফর্মে রয়েছেন। শেষ দু’বছর খেলেছেন ম্যাঞ্চেস্টার সিটিতে। তার আগে ভ্যালেন্সিয়ার জার্সিতে নিজের জাত চেনান ফেরান তোরেস। লুইস এনরিকের অন্যতম প্রধান ভরসা তিনি। কাতার বিশ্বকাপে নিজেকে মেলে ধরতে তৈরি তোরেস।

এরিক গার্সিয়া (স্পেন)- ২০১৭ যুব বিশ্বকাপে স্পেনের রক্ষণে নির্ভরতা দিয়েছিলেন। এ বার কাতারের মঞ্চেও রক্ষণ আগলাতে প্রস্তুত এরিক গার্সিয়া। জাতীয় দলের জার্সিতে আঠেরোটা ম্যাচ খেলে ফেলেছেন। তরুণ ডিফেন্ডারে আস্থা রাখছেন এনরিকেও। ক্লাব ফুটবলে বার্সেলোনার জার্সিতেও নজর কেড়েছেন গার্সিয়া।

উগো গিলামন (স্পেন)- রক্ষণে খেলার পাশাপাশি মাঝমাঠেও খেলতে অভ্যস্ত। স্পেনের হয়ে ভারতে অনুষ্ঠিত অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপেও খেলেছিলেন। এ বার সিনিয়র দলের জার্সিতে কাতার বিশ্বকাপে নিজের সেরাটা দিতে তৈরি উগো।

অরেলিয়েঁ শৌয়ামেনি (ফ্রান্স)– ভারতে অনুষ্ঠিত যুব বিশ্বকাপে নজর কাড়লেও এখনও প্রতিশ্রুতিমান ফুটবলার হিসেবেই দেখা হয় শৌয়ামেনিকে। মূলত মাঝমাঠের ফুটবলার। রিয়াল মাদ্রিদের প্রথম একাদশেও জায়গা করে নিয়েছেন। গত বছর ফ্রান্সের সিনিয়র দলে অভিষেক হয়েছে। এরপর ১৪টা ম্যাচ খেলে ফেলেছেন লেস ব্লুজদের হয়ে। দিদিয়ের দেশঁর ভরসা জুগিয়েছেন। কাতার বিশ্বকাপে ট্রফি অক্ষত রাখাই লক্ষ্য শৌয়ামেনির।

তাকেফুসা কুবো (জাপান)- অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপে জাপানের তারকা হয়ে উঠেছিলেন কুবো। সিনিয়র দলেও তিনি অপরিহার্য্য। যুব বিশ্বকাপে দেশের হয়ে একটা গোল করার পাশাপাশি দুটো অ্যাসিস্টও করেছিলেন। তিন বছর এফসি টোকিও থেকে রিয়াল মাদ্রিদে সই করেন। রিয়ালের জার্সিতে সুযোগ না পেলেও স্পেনের অপর ক্লাব রিয়াল সোসিয়েদাদে সুযোগ পান। কাতার বিশ্বকাপে দুরন্ত ফুটবল উপহার দিতে তৈরি কুবো।

টিমোথি উইয়া (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র)- লাইবেরিয়ার জনপ্রিয় ফুটবলার জর্জ উইয়ার ছেলে টিমোথি। বিশ্ব মঞ্চে জর্জ উইয়া অকথিত নায়ক। অন্যতম সেরা ফুটবলারের তালিকায় থেকেও বিশ্বকাপ খেলা হয়নি। ছেলের হাত ধরেই সেই স্বপ্ন পূরণের লক্ষ্যে জর্জ। যুব বিশ্বকাপে ভারতের মাটিতে হ্যাটট্রিক করেছিলেন টিমোথি। প্যারাগুয়ের বিরুদ্ধে হ্যাটট্রিক করে শোরগোল ফেলে দিয়েছিলেন। ক্লাব ফুটবলে লিলের হয়ে খেলেন। কাতার বিশ্বকাপে নিজের নামের প্রতি সুবিচার করার পাশাপাশি বাবার সম্মান রাখতে মরিয়া টিমোথি।

সের্জিনো ডেস্ট (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র)- মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের লেফট ব্যাক যুব বিশ্বকাপে চারটে ম্যাচ খেলেছিলেন। নর্থ আমেরিকার অন্যতম সেরা প্রতিভাবান ফুটবলার তিনি। ডাচ বংশোদ্ভূত এই ফুটবলার ধীরে ধীরে নিজেকে মেলে ধরেছেন। ক্লাব ফুটবলে এসি মিলানের হয়ে খেলেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সিনিয়র দলের অন্যতম প্রধান সদস্য। কাতার বিশ্বকাপে সেরাটা দিতে তৈরি ডেস্ট।