দৃষ্টি নন্দন ফুটবলের মধ্যে দিয়ে গত ফুটবল মরসুম শুরু করেছিল মহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। আইএসএলের প্রথম ম্যাচে পরাজিত হতে হলেও পরবর্তী ম্যাচ থেকেই ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছিল ময়দানের এই প্রধান। শক্তিশালী এফসি গোয়ার সঙ্গে পয়েন্ট ভাগাভাগি করে ম্যাচ শেষ করার পর তৃতীয় ম্যাচে অনায়াসেই তাঁরা পরাজিত করেছিল শক্তিশালী চেন্নাইয়িন এফসিকে। যা চমকে দিয়েছিল সকলকে। আসলে অ্যাওয়ে ম্যাচে দলের এই জয় নিঃসন্দেহে আত্মবিশ্বাস বাড়িয়েছিল দলের সকল ফুটবলারদের। তবে সময় এগোনোর সাথে সাথেই ক্রমশ পিছিয়ে পড়তে শুরু করেছিল সাদা-কালো ব্রিগেড।
তবে পরবর্তীতে দল জয়ের সরণিতে ফিরে আসায় কিছুটা হলেও খুশি হয়েছিল সমর্থকরা। সেই ধারা বজায় রেখেই লিগ টেবিলের উপরে উঠে আসার লক্ষ্য থাকলেও সেটা বাস্তবায়িত হয়নি। শক্তিশালী নর্থইস্ট ইউনাইটেডের বিপক্ষে অমীমাংসিত ফলাফলে ম্যাচ শেষ করার পর বেঙ্গালুরু এফসির বিপক্ষে জয় ছিনিয়ে সকলকে চমকে দিলে ও বজায় থাকেনি সেই ধারাবাহিকতা। দ্বিতীয় লেগে ওয়েন কোয়েলের চেন্নাইয়িন এফসি থেকে শুরু করে মুম্বাই সিটি হোক কিংবা মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট। সকলের কাছেই বিরাট বড় ব্যবধানে পরাজিত হতে থাকে রেড রোডের এই ফুটবল ক্লাব।
এমনকি টুর্নামেন্টের শেষ ম্যাচে ও আটকে যেতে হয়েছিল তাঁদের। সেই হতাশা কাটিয়ে মূলত দেশীয় ব্রিগেডের উপর ভরসা করে কলিঙ্গ সুপার কাপে লড়াকু পারফরম্যান্স করতে বদ্ধপরিকর ছিল সাদা-কালো ব্রিগেড। এক্ষেত্রে অন্তর্বর্তীকালীন কোচ মেহরাজুদ্দিন ওয়াডুর তত্ত্বাবধানে শক্তিশালী নর্থইস্ট ইউনাইটেডের বিপক্ষে খেলতে নেমেছিল ব্ল্যাক প্যান্থার্সরা। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। বরং লজ্জাজনক হারের মধ্যে দিয়ে টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে গিয়েছে কলকাতা ময়দানের এই প্রধান। সেই নিয়ে যথেষ্ট হতাশ ছিল সাদা-কালো সমর্থকরা। আসলে গোটা মরসুম জুড়ে দলের এমন হতাশাজনক পারফরম্যান্স যেন কিছুতেই মেনে নিতে পারেননি সমর্থকরা।
সেই হতাশা কাটিয়ে নতুন সিজনে নিজেদের মেলে ধরার লড়াই মহামেডানের। তাই সবদিক মাথায় রেখেই এগোতে চাইছে ম্যানেজমেন্ট। তবে গত কয়েক মাস ধরেই উঠে আসতে শুরু করেছিল নয়া তথ্য। বিভিন্ন মাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছিল মহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের গোলরক্ষক পদম ছেত্রীকে (Padam Chettri) দলে টানতে নাকি আগ্ৰহী ইন্ডিয়ান সুপার লিগের একাধিক ফুটবল ক্লাব। হিসাব অনুযায়ী দেখলে শেষ আইএসএল সিজনে প্রায় সাতেরোটি ম্যাচ খেলেছিলেন এই আইলিগ জয়ী গোলরক্ষক। যার মধ্যে পাঁচটি ক্লিনশিট ছিল তাঁর।
কিন্তু এই বছরের মে মাসেই তাঁর সঙ্গে চুক্তি শেষ হয়েছে মহামেডানের। তারপর থেকেই সেই চুক্তি বাড়ানো নিয়ে দেখা দিয়েছিল ধোঁয়াশা। শোনা যাচ্ছিল তাঁকে দলে টানার জন্য অনেকটাই এগিয়ে প্যানাজিওটিস ডিলমপেরিসের পাঞ্জাব এফসি। সময় যত এগোচ্ছে ততই জোড়াল হচ্ছে সেই সম্ভবনা। যারফলে সব ঠিকঠাক থাকলে নয়া ফুটবল মরসুমে পাঞ্জাব এফসির জার্সিতে খেলতে দেখা যেতে পারে এই ভারতীয় গোলরক্ষককে।