গত রবিবার ইন্ডিয়ান সুপার লিগের হোম ম্যাচ খেলতে নেমেছিল পাঞ্জাব এফসি (Punjab FC)। যেখানে তাঁদের লড়াই করতে হয়েছিল আদ্রিয়ান লুনাদের কেরালা ব্লাস্টার্সের সঙ্গে। পূর্ন সময়ের শেষে একটি গোলের ব্যবধানে সেই ম্যাচে পরাজিত হতে হয় পাঞ্জাব এফসিকে। সেই নিয়ে যথেষ্ট হতাশ সকলে। আসলে এমন গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে জয় পেলে অনায়াসেই আইএসএলের লিগ টেবিলের আরও কিছুটা উপরে চলে আসতে পারত পাঞ্জাব এফসি। কিন্তু সেটা সম্ভব হয়নি। যারফলে ১৩ ম্যাচ খেলে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে অষ্টম স্থানেই থাকল লুকা মাজসেনরা।
বলাবাহুল্য, এটি পাঞ্জাব দলের হোম ম্যাচ হলেও প্রথম থেকেই হাড্ডাহাড্ডি লড়াই থেকেছে দুই দলের। ম্যাচের বয়স বাড়ার সাথে সাথেই আক্রমণ প্রতি আক্রমণে উঠে আসতে শুরু করেছিল উভয় পক্ষ। কিন্তু ম্যাচের প্রথমার্ধের একেবারে শেষ লগ্নে বল নিয়ে পাঞ্জাব রক্ষণে হানা দেন নোয়া সাদাউ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গিয়ে তাঁকে পেনাল্টি বক্সে ফেলে দেন পাঞ্জাব ফুটবলাররা। সেখান থেকেই গোল করে দলকে এগিয়ে দেন এই মরোক্কান তারকা। এই একটি গোলের ব্যবধানেই চলে আসে জয়। দ্বিতীয়ার্ধে একাধিকবার সমতায় ফেরার সুযোগ আসলেও সেটা কাজে লাগাতে পারেননি আজমির সুলজিকরা।
যারফলে এই নিয়ে টানা চারটি ম্যাচ পরাজিত হল পাঞ্জাব এফসি। ম্যাচ শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ডিলমপেরিস বলেন, ” আমরা যথেষ্ট ভালোভাবে টুর্নামেন্ট শুরু করেছিলাম। কিন্তু গত একমাসে পরিস্থিতি অনেকটাই বদলে গিয়েছে। আমাদের দলের ছন্দ নষ্ট হয়েছে। ছেলেরা ম্যাচে ভুল করলে তাঁর মাসুল দিতে হয়ে আসছে। তবে দলের পারফরম্যান্স নিয়ে আমি খুব একটা হতাশ নই। আমাদের খেলার একটি নির্দিষ্ট কৌশল রয়েছে। বেশ কয়েকজন ফুটবলারদের অনুপস্থিতি পারফরম্যান্সে প্রভাব ফেলেছে। তাছাড়া কেরালা ব্লাস্টার্স এমন একটা ফুটবল দল যারা প্রত্যেকটি ম্যাচে একাধিক গোলের সুযোগ তৈরি করে”।
পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, “আমরা ম্যাচে ভুল করেছিলাম। সেজন্য পেনাল্টি দিয়ে তাঁর মাসুল গুনতে হয়েছে। এই নিয়ে টানা চারটি ম্যাচ আমাদের হতাশ করল। আসলে আমরা যেহেতু তরুণ ফুটবলারদের সামনে রেখে লড়াই করছি তাই এক্ষেত্রে কিছুটা সময় দরকার। অভিজ্ঞতা বাড়ার সাথে সাথেই দলের ফুটবলারদের খেলায় বদল আসবে। সকলের আত্মবিশ্বাস বাড়বে। আমরা সেই চেষ্টাই করে চলেছি”।