Prithwi Shaw: দুরন্ত ট্রিপল সেঞ্চুরির ফল, জাতীয় দলে ডাক পেলেন পৃথ্বী

দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান।নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি সিরিজে ভারতীয় দলে সুযোগ পেলেন পৃথ্বী শ (Prithwi Shaw)। রঞ্জি ট্রফিতে নেমেই সেঞ্চুরি, দলীপ ট্রফিতে নেমেই সেঞ্চুরি, টেস্ট ক্রিকেটে নেমেই…

Prithwi Shaw

দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান।নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি সিরিজে ভারতীয় দলে সুযোগ পেলেন পৃথ্বী শ (Prithwi Shaw)। রঞ্জি ট্রফিতে নেমেই সেঞ্চুরি, দলীপ ট্রফিতে নেমেই সেঞ্চুরি, টেস্ট ক্রিকেটে নেমেই সেঞ্চুরি। এই রেকর্ড ‘ক্রিকেটের ভগবান’ সচিনেরও নেই। মাত্র ১৮ বছর বয়সে টেস্ট খেলার সুযোগ পেয়েই সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে নিজের উপস্থিতি যেন সাড়ম্বরে জানান দিয়েছিলেন ‘বিস্ময় বালক’ পৃথ্বী সাউ।

মাত্র ১৪ বছর বয়সেই স্কুলের হয়ে নেমে এক ইনিংসে ৩০০ বলে ৫৪৬ রান করে প্রথম নজরে আসে পৃথ্বী। তখনই ছোটবেলার সচিনের সঙ্গে তুলনা শুরু হয়ে যায়। মাত্র ১৭ বছর বয়সেই প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে অভিষেক হয় তার।

অভিষেকেই রঞ্জি, দলীপে সেঞ্চুরির পর এই বালক যে খুব তাড়াতাড়ি ভারতের হয়ে টেস্ট খেলবে, তা নিয়ে সন্দেহ ছিল না কারোরই। আর প্রথম সুযোগেই বাজিমাত। বৃহস্পতিবার, রাজকোটে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে ওপেন করে ১৫৪ বলে ১৩৪ রানের ঝকঝকে ইনিংস।

প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসেই অনায়াস সেঞ্চুরি। তারপরেও, খেলার গতির বিরুদ্ধে হঠাৎ আউট হয়ে ক্রিজেই তার আফসোস ক্রিকেটপ্রেমী ভারতবাসীকে বুঝিয়ে দিয়েছে যে, আরও রান-খিদে নিয়ে পরবর্তী সচিন আরও উন্নত হয়ে হাজির হয়েছে।

টেস্ট শুরুর আগে ‘বাচ্চা ছেলে’র চাপ কমাতে কোচ রবি শাস্ত্রী বলেছিলেন, রঞ্জি ট্রফির মতই খেলতে। জীবনের প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে ওপেন করতে নেমে ওয়েস্ট ইন্ডিজ বোলারদের ‘বাচ্চা’ বানিয়ে সেই পৃথ্বীই খেলল চাপহীন, অসাধারণ একটি ইনিংস।

এই ইনিংস যে শিখর ধাওয়ান ও মুরলি বিজয়ের টেস্ট কেরিয়ারে বড়সড় প্রশ্ন চিন্হ ঝুলিয়ে দিল তাই নয়, রোহিত শর্মা সহ অনেকেরই টেস্ট ক্রিকেটে ফিরে আসার রাস্তাও বন্ধ করে দিল। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী ১৫ বছরের জন্য একজন টেস্ট ওপেনার নিশ্চিত করল ‘মেন ইন ব্লু’।

১৮ বছর ৩২৯ দিনে টেস্ট অভিষেক হল পৃথ্বী সাউর। অভিষেকেই টেস্ট ক্রিকেটের বেশ কয়েকটি রেকর্ড পকেটে। অভিষেকে ভারতীয়দের মধ্যে সবচেয়ে কম বয়সে শতরান। সচিনের পর সবচেয়ে কম বয়সে শতরান। অভিষেকে সেঞ্চুরি করতে নেন ৯৯ বল যা টেস্ট ইতিহাসে তৃতীয় সেরা। আরও কত। সচিনের মত এই ছেলেও যে ২২ গজে রাজত্ব করতে এসেছে সেটা প্রথম দিনেই ভারতীয় ফ্যানদের কাছে পরিষ্কার।

১৯৭৫ সালে এই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধেই অভিষেক হয়েছিল ভারতের সর্বকালের সেরা টেস্ট ওপেনার সুনীল গাভাসকারের। ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে প্রথম সিরিজেই বুঝিয়ে দিয়েছিলেন, তিনি এসে গেছেন। দেশের মাটিতে সেঞ্চুরি করলেও পৃথ্বীর আসল পরীক্ষা কিন্তু অস্ট্রেলিয়ার পেস বাউন্সের পিচেই হবে।

গাভাসকার শুরুতেই দেখিয়ে দিয়েছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে। সচিন ছাপ রেখেছিলেন পাকিস্তানের পিচে। অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে যুদ্ধে ওপেন করে পৃথ্বী সফল হলে সচিনের পর আবার একজন ‘ক্রিকেট ভগবান’ এর আগমন হয়েছে বলেই মেনে নেবে ভারতের পাশাপাশি বিশ্বের ক্রিকেটপ্রেমী মানুষও।
মাঝে কিছুদিন হারিয়ে যাওয়া চোটের জন্য। সুযোগের অভাব। বারবার রান করেও মেলেনি সুযোগ। এই রঞ্জিতেও দুরন্ত খেলছেন তিনি। আর আটকে রাখা গেল না। ফের জাতীয় দলে ডাক পেলেন পৃথ্বী।