Pritam Kotal: শহরে এসে জাতীয় শিবির নিয়ে ‘বিস্ফোরক’ প্রীতম কোটাল

মোহনবাগানের জার্সিতে অনেকটাই সময় কাটিয়েছেন বাঙালি তারকা প্রীতম কোটাল (Pritam Kotal)। জয় করেছেন বহু ডার্বি। এমনকি শেষ ফুটবল মরশুমে দায়িত্ব নিয়ে দলকে জিতিয়েছেন আইএসএল। এতকিছুর…

pritam kotal

মোহনবাগানের জার্সিতে অনেকটাই সময় কাটিয়েছেন বাঙালি তারকা প্রীতম কোটাল (Pritam Kotal)। জয় করেছেন বহু ডার্বি। এমনকি শেষ ফুটবল মরশুমে দায়িত্ব নিয়ে দলকে জিতিয়েছেন আইএসএল। এতকিছুর পরেও নয়া আইএসএলে আর শহরে থাকা হয়নি উত্তরপাড়ার এই তারকা ফুটবলারের। নতুন ফুটবল মরশুমের জন্য নিজের পুরোনো দল মোহনবাগান ছেড়ে কেরালা ব্লাস্টার্সের পথে পা দিয়েছেন ভারতীয় দলের এই তারকা ডিফেন্ডারকে। যা সহজে মেনে নিতে পারেননি সবুজ-মেরুন সমর্থকরা।

পূর্বে একাধিক ফুটবল দলে খেললেও মোহনবাগানে খেলেছেন প্রায় অনেকটা সময়। এক কথায় বলতে গেলে সবুজ-মেরুন ব্রিগেডের ঘরের ছেলে হয়ে গিয়েছিলেন তিনি। তবে পেশাদার ফুটবলার হওয়ার দরুন ইচ্ছা না থাকলেও অনেক সময় নিতে হয় কঠিন সিদ্ধান্ত। আইএসএল শুরু হওয়ার আগে তেমনই করতে হয়েছিল এই দাপুটে তারকাকে।

তবে এবার কলকাতা ময়দানের অন্যতম প্রধান তথা ইমামি ইস্টবেঙ্গল দলের বিপক্ষে খেলতে শহরে এসেছে ইভান ভুকোমানোভিচের কেরালা দল। তাদের সঙ্গেই নিজের শহরে এসেছেন প্রীতম কোটাল। আগামীকাল রাত ৮টা নাগাদ যুবভারতীতে নিজেদের অ্যাওয়ে ম্যাচ খেলতে নামছে দক্ষিণের এই ফুটবল দল। বর্তমানে ৫ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে লিগ টেবিলের পাঁচ নম্বরে রয়েছে কেরালা ফুটবল দল। এবার আগামীকালের ম্যাচ জিতে লিগ টেবিলের উপরের দিকে উঠতে মরিয়া আদ্রিয়ান লুনারা।

উল্লেখ্য, গত মরশুমের নক আউট পর্বের ম্যাচে বেঙ্গালুরু এফসির বিপক্ষে বিতর্কিত গোল খেয়ে যায় কেরালা। যার প্রতিবাদ করতে মাঠ থেকে দল তুলে নেন ইভান ভুকোমানোভিচ। পরবর্তীতে ম্যাচ কমিশনারেটের তরফ থেকে মাঠে আসার কথা জানানো হলেও আর নামেনি কেরালা। যারফলে পরবর্তীতে জয়ী ঘোষণা করা হয় বেঙ্গালুরু এফসিকে।

পাশাপাশি শাস্তি দেওয়া হয় কেরালার এই ফুটবল দলকে। তবে এবারের এই নয়া মরশুমে সেই অতীত ভুলে নতুন করে লড়াই করাই একমাত্র লক্ষ্য কেরালা ব্লাস্টার্স ফুটবল দলের। এসবের মাঝেই একটি জনপ্রিয় মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে জাতীয় শিবির নিয়ে মুখ খোলেন প্রীতম কোটাল। তিনি বলেন, বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে আমি আমার নিজের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাব। তবে এতকিছুর পরে জাতীয় দলে আদৌ ডাক পাবো কিনা সেটা পুরোটাই নির্ভর করছে ভারতীয় দলের কোচ ইগর স্টিমাচের সিদ্ধান্তের উপর।