ইতিহাদে জয়ের নায়ক হাল্যান্ড, ঘরের মাঠে লজ্জার হার লিভারপুলের

Erling Haaland

আর্লিং ‘অপ্রতিরোধ্য’ হাল্যান্ড (Erling Haaland)। বিগত বেশকিছু দিনে তাঁর পারফরম্যান্স দেখে ম্যান সিটি (Man City ) সমর্থকরা এখন অবশ্য তাঁকে ভালোবেসে এই নামেই ডাকছেন। অবশ্য গতবছর ম্যানচেস্টার সিটিকে কাপ জিতিয়েও -প্রিমিয়ার লিগে (Premier League) কিছু করতে পারবে না, ওভারহাইপড ফুটবলার এসব শুনতে হয়েছে তাঁকে। আজ খেলতে নেমে ২টি গোল করে প্রথমার্ধে পিছিয়ে থাকা ম্যানচেস্টার সিটির ‘হাল’ ধরলেন তিনি। এদিন হল্যান্ডের সুবাদেই ঘরের মাটিতে ম্যানচেস্টার সিটি ব্রেন্টফোর্ডকে হারিয়েছে ২-১ ব্যবধানে। তবে সিটি এদিন জয় পেলেও অ্যানফিল্ডে ১-০ গোলে লজ্জার হার হারতে হল লিভারপুলকে।

Advertisements

এবছর শুরু থেকেই সমালোচনা শুনতে হয়েছে নরওয়েজীয় তারকা ফুটবলারকে। কিন্তু কয়েকটা ম্যাচ পেরুতেই ভোজবাজির মত অদৃশ্য হয়ে গেল সব কটু কথা। এদিন ম্যাচের ২২ সেকেন্ডে সিটি ডিফেন্ডারকে বোকা বানিয়ে করা ব্রেন্টফোর্ডের গোলটি এবারের প্রিমিয়ার লিগের দ্রুততমই নয়, লিগ ইতিহাসে বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের বিপক্ষেই দ্রুততম।

হলান্ড তাঁর দ্বিতীয় গোলটি করেন ম্যাচের ৩২ মিনিটে। গোলকিপার এদেরসনের লম্বা করে বাড়ানো বল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে সামনে এগিয়ে ব্রেন্টফোর্ড গোলকিপার মার্ক ফ্লেকেনকে ধরাশায়ী করতে খুব একটা সময় নেননি তিনি।

তবে সিটি অবশ্য নিজেদের গুছিয়ে নিতে বেশি সময় নেয়নি। ১৯ মিনিটেই সমতা নিয়ে আসেন হলান্ড। কেভিন ডি ব্রুইনের বাড়ানো বল ধরে খানিকটা ঘুরে এক প্রান্ত থেকে যে শটটি নেন, সেটি জালে যাওয়ার আগে ব্রেন্টফোর্ডের এক খেলোয়াড়ের পায়েও লাগে।

Advertisements

এদিন এই গোলেই প্রিমিয়ার লিগে একটি রেকর্ডের মালিক হয়ে গেছেন ২৪ বছর বয়সী এই স্ট্রাইকার। মৌসুমের প্রথম চার ম্যাচেই ৯ গোল, প্রিমিয়ার লিগে এমন কীর্তি আর কারওই নেই। এছাড়াও পরপর দুবার ম্যাচে হ্যাটট্রিক করার পর এদিন দুটো গোল করেন তিনি – যাও ব্যক্তিগতভাবে রেকর্ডের আওতায় পড়ে।

এদিকে সিটি জিতলেও , লিভারপুল নিজেদের মাঠে হেরেছে গোল করতে না করতে পারার ব্যর্থতায়। ম্যাচের ৭২ মিনিটে নটিংহামের জয়সূচক গোলটি করেন কালাম ওদোই।

এই হারে লিভারপুলের পয়েন্ট তালিকার অবস্থানে আপাতত নড়চড় হয়নি। এখনো দুইয়েই আছে আর্নে স্লটের দল (৪ ম্যাচে ৯ পয়েন্ট)। চার ম্যাচের সব কটিতে জিতে ১২ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে ম্যানচেস্টার সিটি।