ম্যাচ দেখতে গিয়ে পুলিশের কবলে দুই প্রধানের সমর্থকরা, কিন্তু কেন?

সেমিফাইনাল পর্ব মেটার পর থেকেই ডুরান্ড ফাইনাল নিয়ে ক্রমশ পারদ চড়েছিল দুই প্রধানের মধ্যে। স্বাভাবিকভাবেই দেখা দিয়েছিল টিকিটের হাহাকার

East Bengal-Mohun Bagan

সেমিফাইনাল পর্ব মেটার পর থেকেই ডুরান্ড ফাইনাল নিয়ে ক্রমশ পারদ চড়েছিল দুই প্রধানের মধ্যে। স্বাভাবিকভাবেই দেখা দিয়েছিল টিকিটের হাহাকার। রাতের পর রাত জেগে দুই প্রধানের তাঁবুর বাইরে লম্বা লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে ছিল আপামর ফুটবলপ্রেমী মানুষ। তবে শেষ পর্যন্ত টিকিট থেকে বঞ্চিত হতে হয়েছিল অধিকাংশকে।

যারফলে, একটা সময় চরম উত্তেজনা দেখা দিয়েছিল ময়দান চত্ত্বরে। টিকিট না মেলায় একটা সময় রাস্তা ও অবরোধ করতে দেখা যায় দুই দলের সমর্থকদের মধ্যে। যারফলে, যুবভারতীতে আসা সম্ভব হয়নি একটা বিরাট অংশের মানুষদের। তবুও পুলিশের চোখকে ফাঁকি দিয়ে মাঠে প্রবেশ করার চেষ্টা করেছিলেন বহু মানুষ। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। ম্যাচ শুরুর আগে থেকে শেষ পর্যন্ত প্রায় ৮০ জনের অধিক অধিক ফুটবলপ্রেমী মানুষদের এই অপরাধে গ্রেফতার করে বিধাননগর পুলিশ।

আসলে মরশুমের দ্বিতীয় ডার্বি ম্যাচ থাকায় যথেষ্ট উন্মাদনা দেখা দিয়েছিল সমর্থকদের মধ্যে। একদিকে বহুদিন পর যেমন ডার্বি জয়ের স্বাদ পেয়েছিল লাল-হলুদ জনতা। অন্যদিকে, ঠিক তেমনই ভাবেই বদলার ডার্বি ছিল বাগান সমর্থকদের কাছে। যারফলে, বাড়তি উৎসাহ দেখা দিয়েছিল সকলের মধ্যে। কিন্তু চাহিদা মতো টিকিট ছিল না কোথাও। ডার্বির জন্য দুইদিন টিকিট দেওয়ার কথা থাকলেও একদিনের মধ্যেই শেষ হয়ে যায় সমস্ত টিকিট। যা নিয়ে রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছিল সর্বত্র। ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা গিয়েছিল দুই শিবিরের শীর্ষ কর্তাদের। তবুও কোনো লাভ হয়নি।

যারফলে, বিনা টিকিটেই স্টেডিয়ামে এসেছিলেন দুই দলের বহু সমর্থক। তবে শেষ মুহূর্তে ও টিকিট জোগাড় করে মাঠে প্রবেশ করা সম্ভব হয়নি অধিকাংশের পক্ষে। যারফলে, শেষ পর্যন্ত বিনা টিকিটেই মাঠে প্রবেশের চেষ্টা করেন অনেকে। সেক্ষেত্রে দেখা দেয় যত সমস্যা। পুলিশের হাতে আটক হতে দুই দলের সমর্থকদের।