হকি খেলোয়াড় বরুণ কুমারের বিরুদ্ধে তদন্ত জোরদার করেছে পুলিশ। বরুণের বিরুদ্ধে পকসো আইনে (POCSO Act) মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ ছাড়া বিষয়টি তদন্তে দুটি টিমও গঠন করা হয়েছে। তদন্তকারী অফিসার শীঘ্রই বরুণ কুমারকে এই মামলায় পুলিশের সামনে হাজির হওয়ার জন্য সমন জারি করবেন বলে মনে করা হচ্ছে।
কিছু রিপোর্টে দাবি করা হচ্ছে , অভিযুক্ত ও নির্যাতিতার মধ্যে চ্যাট, ফোন রেকর্ডিং এবং হোটেল রুম বুকিংয়ের বিষয়টিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অভিযোগের ভিত্তিতে হকি খেলোয়াড় বরুণ কুমারের বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলা দায়ের করেছে কর্নাটক পুলিশ। বেঙ্গালুরু শহরের জ্ঞানভারতী পুলিশ কুমারের বিরুদ্ধে পকসো আইনের ৪ (২), ৫ (এল), ৬ ধারা এবং ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬ (৩) ধারায় ১৬ বছরের কম বয়সী মহিলাকে ধর্ষণ এবং ৪২০ (প্রতারণা) এর অধীনে এফআইআর দায়ের করেছে।
নির্যাতিতা তাঁর অভিযোগে বলেছিলেন যে অভিযুক্ত তাঁকে বিয়ের মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে ১৬ বছর বয়স থেকে ধর্ষণ করছিল। নির্যাতিতার অভিযোগ, ‘এক বছর আগে বাবার মৃত্যুর পর আসামি সান্ত্বনা দিতে এসেছিল, কিন্তু এর পর সে ফোন করা বন্ধ করে দেয়। শুধু তাই নয়, আমার ফোন এড়িয়ে যেতে শুরু করেছিল। তারপরে যখন আমি তার বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করার সিদ্ধান্ত নিই, তখন আবার আমার সাথে কথা বলতে শুরু করেন…যখন আমি তাকে আমাকে বিয়ে করতে বলি, তখন সে আমাকে বলেছিল যে আমরা এভাবেই থাকতে পারি। শুধু তাই নয়, অভিযুক্ত আমাকে হুমকি দিয়ে বলেছিল যে আমি যদি তার উপর বিয়ের চাপ দিই তবে সে আমার ছবিগুলি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করবে।’
নির্যাতিতা আদতে বেঙ্গালুরুর বাসিন্দা। ১৬ বছর বয়সে ভলিবলে নির্বাচিত হওয়ার পরে স্পোর্টস অথরিটি অফ ইন্ডিয়ার সংস্থায় প্রশিক্ষণ নিচ্ছিলেন। একটি মহিলা হোস্টেলে থাকতেন। একই সঙ্গে বরুণ কুমারও ওই ক্যাম্পাস থেকে প্রশিক্ষণ নিচ্ছিলেন। ইনস্টাগ্রামের মাধ্যমে বরুণের সঙ্গে পরিচয় হয় তাঁর।
অভিযোগে নির্যাতিতা জানিয়েছেন, ‘আমি নাবালিকা ছিলাম, তাই ওর কোনও মেসেজের উত্তর দিইনি… অভিযুক্ত আমাকে ক্রমাগত মেসেজ পাঠাতে শুরু করে। ও আমার সামনে কাঁদত এবং বলত যে আমাকে ছাড়া বাঁচতে পারবে না। তারপর যখন তার বন্ধুরা আমাকে আশ্বস্ত করল যে তারা আমাকে তাদের বোনের মতো রক্ষা করবে, তখন আমি তার সাথে দেখা করতে রাজি হই। আমি তার সাথে দেখা করি, তখন আমাকে বিয়ে করার জন্য চাপ দিতে শুরু করে। কিন্তু আমি তার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করি। অভিযুক্ত আমাকে বলেছিল যে সে আমার পরিবারকে বিয়ের রাজি করাবে।’