কলকাতা ময়দানে তখনও কর্পোরেট ছোঁয়া থেকে ছিল দূরে। দলবদলের উন্মাদনা ছিল আলাদা পর্যায়ে। নামি ফুটবলারদের দল বদলের অনেক গল্প শোনা যায় এখনও। বিংশ শতাব্দীর শুরুতেই ছিল নাটকীয়তা। ভুললে চলবে না টোলগে (Tolgay Ozbey) ওজবের কথা। কলকাতা ফুটবলে সুপার স্টার হয়ে উঠেছিলেন টোলগে ওজবে।
দিমিত্রি পেত্ৰাতস, জেসন কামিন্স, ব্রেন্ডন হামিল, তারও আগে ভারতীয় ফুটবলে যুক্ত হয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার একাধিক ফুটবলার। মহাতারকা কিংবা কিংবদন্তির তকমা পেয়েছেন খুব কম ফুটবলার। টোলগে ওজবে তাঁদের মধ্যে একজন।
ট্রফি জেতার জন্য মোহনবাগান সমর্থকদের এখন ভরসার মূল পাত্র দিমিত্রি পেত্ৰাতস। তাঁর কাছেই গোলের আব্দার করছেন মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের সমর্থকরা। একই আব্দার শুনতে হয়েছিল টোলগে ওজবেকে। কেরিয়ারের সবথেকে ভালো সময় হয়তো ইস্টবেঙ্গলের হয়েই তিনি কাটিয়েছিলেন। ইস্টবেঙ্গলের খেলেছিলেন দুই মরসুম। তারপর গিয়েছিলেন মোহনবাগানে।
টোলগে যখন ইস্টবেঙ্গল থেকে মোহনবাগানে যোগ দিলেন তখন চরম নাটকীয়তা। দল বদল করার পর টোলগেকে আর পাওয়া যায়নি চেনা ফর্মে। মহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবেও খেলেছেন।
মোহনবাগানের হয়ে গোটা দশেক গোল করেছিলেন। তারপর ধীরে ধীরে চলে গেলেন লাইমলাইটের বাইরে। হয়তো সময়ের আগেই নিয়েছেন অবসর। তবুও লাল হলুদ জার্সি পরে অস্ট্রেলিয়ান ফুটবলার যে মুহূর্তগুলো উপহার দিয়েছিলেন সেগুলো ভোলার নয়। শনিবার মুম্বই সিটি এফসির বিরুদ্ধে ফাইনাল ম্যাচ খেলবে মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট। অস্ত্রেলিয়ান ফুটবলাররা আলোচনার কেন্দ্রে। ঘুরেফিরে আসছে টোলগে ওজবের কথা।