মেয়ের মৃত্যুর খবর জানতেন না পাক আম্পায়ার! ভাবলেই ভিজে যায় চোখ

ক্রিকেটারদের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে তো আমরা সকলেই যথেষ্ট ওয়াকিবহাল। কিন্তু, আম্পায়ারদের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে আমরা ক’জনই বা জানি? ক্রিকেটারদের মতোই আম্পায়ারদের জীবনও যথেষ্ট বৈচিত্র্যপূর্ণ। এমনই…

Aleem Dar

ক্রিকেটারদের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে তো আমরা সকলেই যথেষ্ট ওয়াকিবহাল। কিন্তু, আম্পায়ারদের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে আমরা ক’জনই বা জানি? ক্রিকেটারদের মতোই আম্পায়ারদের জীবনও যথেষ্ট বৈচিত্র্যপূর্ণ। এমনই এক আম্পায়ারকে নিয়ে আজ আলোচনা করা যাক।

পাকিস্তানের আম্পায়ার আলিম দার’কে (Aleem Dar Daughter Death) চেনেন না, এমন ক্রিকেট সমর্থক বোধহয় খুব অল্পই রয়েছেন। সম্প্রতি তিনি জীবনের একটি দুঃখজনক ঘটনার কথা শেয়ার করলেন। মাত্র সাত মাস বয়সেই তাঁর মেয়ে মারা গিয়েছিল। আর এই খবরটা প্রায় একমাস আলিম দার’কে জানায়নি তাঁর পরিবার! কী হয়েছিল ঘটনাটি? কেনই বা মেয়ের মৃত্যুর খবর পাকিস্তানের এই আম্পায়ারের থেকে লুকিয়ে রাখা হয়েছিল?

   

‘জাতীয় সঙ্গীত বাজলেই…’, স্বাধীনতা দিবসে ‘জন-গণ-মন’ নিয়ে বড় মন্তব্য বিরাটের

৫৬ বছর বয়সি আলিম দার সম্প্রতি পাকিস্তানের একটি টেলিভিশন চ্যানেলে জানিয়েছেন, ‘সালটা ছিল ২০০৩। আইসিসি প্যানেল আম্পায়ার হিসেবে আমি সবেমাত্র নিজের কেরিয়ার শুরু করছিলাম। এটা আমার কেরিয়ারের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ টুর্নামেন্ট ছিল। সেকারণে আমাকে আমার মেয়ের মৃত্যুর খবরও দেওয়া হয়নি। আমার পরিবার খুব ভালো করেই জানত যে মেয়ের মৃত্যুর খবর শুনলে আমি হয়ত বিশ্বকাপ টুর্নামেন্ট ছেড়েই দেশে ফিরে আসতাম।’ পাকিস্তানের এই স্বনামধন্য আম্পায়ার আরও যোগ করেন, মেয়ের মৃত্যুর ব্যাপারে আমি যখন জানতে পারলাম, তখন একেবারে ভেঙে পড়েছিলাম। এটা আমার জীবনের সবথেকে দুঃখজনক মুহূর্ত ছিল।’

বাংলাদেশ বিশ্বকাপ আয়োজন না করলে… বিস্ফোরক মন্তব্য জয় শাহের!

আলিম দারের কথায়, ‘মেয়ের মৃত্যুর খবরটা প্রায় এক মাস আমার কাছে লুকিয়ে রাখা হয়েছিল। জোহানেসবার্গে আমার কিছু পরিচিত লোকজন এই ব্যাপারটা আমাকে জানিয়েছিল। শিয়ালকোটের এক পরিচিত ব্যক্তি কিছু না জেনেই আমার কাছে সমবেদনা জানাতে এসেছিলেন।’ তিনি আরও বললেন, ‘ওই সময় আমি খুব বড় ধাক্কা খেয়েছিলাম। সঙ্গে সঙ্গে আমি আইসিসি-কে এই ব্যাপারে জানিয়েছিলাম। তারপর বাড়িও ফিরে এসেছিলাম।’

আলিম দার জানালেন, মেয়ের মৃত্যুর খবর শোনার পরই স্ত্রী’কে ফোন করেছিলাম। ফোনেই আমার স্ত্রী হাউহাউ করে কাঁদতে শুরু করে। পরে জানতে পেরেছিলাম যে আমার বাবা সংবাদমাধ্যমকে কড়া ভাষায় খবরটা প্রকাশ করতে নিষেধ করেছিলেন। প্রসঙ্গত, ২০০০ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত আলিম দার ১৪৫টি টেস্ট ম্যাচ, ২৩১টি ওয়ানডে এবং ৭২টি আন্তর্জাতিক টি-২০ ম্যাচে আম্পায়ারিং করেছেন।