গত সোমবার ইন্ডিয়ান সুপার লিগের হোম ম্যাচ খেলতে নেমেছিল চেন্নাইয়িন এফসি (Chennaiyin FC)। যেখানে তাঁদের লড়াই করতে হয়েছিল হুয়ান পেদ্রো বেনালির শক্তিশালী নর্থইস্ট ইউনাইটেডের সঙ্গে। গত বেঙ্গালুরু ম্যাচের হতাশা ভুলে ঘুরে দাঁড়ানোর লক্ষ্য থাকলেও সেটা সম্ভব হয়নি। বরং নিজেদের ঘরের মাঠেই ক্রমশ ব্যাকফুটে চলে যেতে শুরু করেন জর্ডান উইলমার গিলরা। সময় যত এগোয় ততই গোলের সংখ্যা বাড়তে শুরু করে জন আব্রাহামের নর্থইস্ট ইউনাইটেড। প্রথম কোয়ার্টারের মধ্যেই গোল করে দলকে এগিয়ে দেন নেস্টর আলবিয়াচ। তবে সুযোগ বুঝে পাল্টা আক্রমণে উঠে আসতে শুরু করেছিল কোনর শিল্ডসরা। কিন্তু কাজের কাজ হয়নি।
আসলে মিচেল জাবাকো থেকে শুরু করে রিডিম টালাংদের টেক্কা দিয়ে গুরমিত সিংকে পরাস্ত করা খুব একটা সহজ ছিল না। তবে সঠিক সময় সঠিক কাজ করে যেতে অসুবিধা হয়নি জিথিন এমএসের। বলতে গেলে তাঁর গোলেই ব্যবধান বাড়িয়ে নিয়েছিল পাহাড়ের এই ফুটবল ক্লাব। সেই ধাক্কা কাটিয়ে ওঠার কিছু সময়ের মধ্যে ফের গোল। এবার বল জালে জড়িয়ে যান আলাদিন। প্রথমার্ধের শেষে এই তিনটি গোলের ব্যবধানে এগিয়ে থাকে নর্থইস্ট। দ্বিতীয়ার্ধ থেকে খানিকটা রক্ষণাত্মক ভঙ্গিতে খেলতে শুরু করে চেন্নাইয়িন। সেইসাথে পরিস্থিতি বুঝে আক্রমণ। কিন্তু গোলের মুখ খোলা যায়নি।
Also Read | গোয়া বনাম মহামেডানের লড়াইয়ে দেখে নিন সম্ভাব্য একাদশ
ম্যাচের প্রথমার্ধের তুলনায় দ্বিতীয়ার্ধে চেন্নাইয়িন এফসি অনবদ্য ফুটবল খেললে ও শেষ পর্যন্ত হতাশা নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয় আইএসএল জয়ী এই ফুটবল ক্লাবকে। সেই নিয়ে যথেষ্ট হতাশ দলের কোচ ওয়েন কোয়েল। পরবর্তীতে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, ” আমরা এই ম্যাচে একাধিকবার সুযোগ তৈরি করেছিলাম। কিন্তু কেউ সেটা সঠিকভাবে কাজে লাগাতে পারলে পরিস্থিতি অন্যরকম হতে পারত। আমি আশা করি না যে খেলোয়াড়রা প্রতিটি সুযোগ কাজে লাগিয়েই গোল করবেন। তবে প্রথমার্ধে দুই থেকে তিনটি দুর্দান্ত সুযোগ ছিল। তবে শেষ পর্যন্ত, গোল খেলা বদলে দেয়।”
তিনি আরও বলেন, ” ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে আমরা দলের মধ্যে অনেকগুলি পরিবর্তন করেছি। কিন্তু ততক্ষণে প্রতিপক্ষ দল অনেকটাই আত্মবিশ্বাস পেয়ে গিয়েছিল।তবে বল দখলের ক্ষেত্রে আমাদের দলের ফুটবলারদের প্রাধান্য ছিল। কিন্তু কার্ড সমস্যা এক্ষেত্রে ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়ায়। এটা যথেষ্ট হতাশাজনক ছিল।”