ম্যাচ জিতে কী বললেন অস্কার ব্রুজো? জানুন

জয়ের মধ্য দিয়ে নতুন মরসুম শুরু করেছে ইস্টবেঙ্গল ফুটবল (East Bengal FC) দল। শেষ সিজনের সমস্ত হতাশা দূরে ঠেলে এবার ভালো পারফরম্যান্স করতে বদ্ধপরিকর মশাল…

Oscar Bruzon has signed contract a one-year extension with East Bengal FC

জয়ের মধ্য দিয়ে নতুন মরসুম শুরু করেছে ইস্টবেঙ্গল ফুটবল (East Bengal FC) দল। শেষ সিজনের সমস্ত হতাশা দূরে ঠেলে এবার ভালো পারফরম্যান্স করতে বদ্ধপরিকর মশাল ব্রিগেড। সেজন্য স্প্যানিশ কোচ অস্কার ব্রুজোর উপরে ভরসা রেখেছে ম্যানেজমেন্ট। তাঁর পছন্দ অনুসারে দলের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে সকল ফুটবলারদের। দেশীয় খেলোয়াড়দের পাশাপাশি বিদেশি নির্বাচনে ও দেখা গিয়েছিল বিরাট চমক। যারফলে সিজনের প্রথম ম্যাচ থেকেই আশায় বুক বেঁধেছিল সমর্থকরা। এক্ষেত্রে খুব একটা হতাশ করেনি লাল-হলুদ ব্রিগেড। প্রথম ম্যাচে সাউথ ইউনাইটেড এফসিকে পরাজিত করার পর দ্বিতীয় ম্যাচে ও এসেছে জয়।

Also Read | নামধারী পরাজিত করার পর কী বললেন লাল-হলুদ শীর্ষ কর্তা?

   

গত বুধবার প্রভাবশালী ফুটবলের মধ্যে দিয়ে নামধারী এফসিকে পরাজিত করেছে লাল-হলুদ শিবির।‌ গোল পেয়েছেন দলের নতুন তারকা ফরোয়ার্ড হামিদ আহদাদ। প্রথম ম্যাচে গোল পাওয়া নিঃসন্দেহে অনেকটাই আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দেবে এই ফুটবলারের। পরবর্তীতে ডুরান্ড সহ দেশের প্রথম ডিভিশন ফুটবল লিগ তথা আইএসএলে ও তাঁর উপরেই নজর থাকবে সকল সমর্থকদের। তবে এদিন অনেকটাই অফকালার ছিলেন গ্ৰীক ফরোয়ার্ড দিমিত্রিওস দিয়ামান্তাকস। সেই নিয়ে কিছুটা হলেও চিন্তা থাকবে লাল-হলুদ কোচের।

Also Read | ডায়মন্ড ম্যাচে খেলবেন অপুইয়া? রইল ইনজুরি আপডেট

Advertisements

ম্যাচ শেষে সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে অস্কার বলেন, ” ভালো ম্যাচ হয়েছে। ছেলেরা প্রতিপক্ষ দলকে যথেষ্ট চাপে রেখেছিল গোটা সময়। তবে রক্ষণভাগকে মজবুত করতে যথেষ্ট পরিকল্পনা সাজিয়েছিল নামধারী দল। তবে ছেলেরা যথেষ্ট আক্রমণ শানিয়ে গোল মুখ খোলার চেষ্টা করে গেছে। শেষ পর্যন্ত তিন পয়েন্ট আশায় দলের সকলের আত্মবিশ্বাস বাড়বে। তবে আমাদের ফিনিশিংয়ের দিকে বিশেষ নজর দিতে হবে। গোটা ম্যাচ জুড়ে একাধিকবার গোলের চেষ্টা করেছিল আমাদের ছেলেরা তবে শেষ পর্যন্ত একটা মাত্র গোল করাই সম্ভব হয়েছে।”

পাশাপাশি দলের বিদেশি ফুটবলারদের পারফরম্যান্স নিয়ে প্রশ্ন করা হলে কোচ বলেন, মিগুয়েল যথেষ্ট ভালো খেলেছে। সেইসাথে রশিদ, সিবিল এদের সবার পারফরম্যান্স নিয়েই আমি খুশি। তবে এখনও পর্যন্ত সম্পূর্ণ ম্যাচফিট হয়ে উঠতে পারেননি দলের ফুটবলাররা। নিজেদের ফিটনেসের মাত্র পঞ্চাশ থেকে ষাট শতাংশ পৌঁছেছেন সকলে। আশা করি প্রাকটিসের মধ্যে দিয়ে আগামী দিনে তাঁরা সকলেই নিজেদের সেরা ছন্দে ধরা‌ দেবে।