গতবারের মতো এবারও হতাশাজনক পারফরম্যান্স দিয়ে মরসুম শুরু করেছে ইমামি ইস্টবেঙ্গল (East Bengal)। শেষ মরসুমে দল ডুরান্ড কাপের ফাইনালে উঠলেও এবার বিদায় নিতে হয়েছে টুর্নামেন্টের কোয়ার্টার ফাইনালে। এমনকি এএফসি চ্যাম্পিয়নস লিগের টায়ার টুয়ের প্রিলিমিনারী রাউন্ডে ও কার্যত নাস্তানাবুদ হতে হয়েছে তাঁদের। পরবর্তীতে ইন্ডিয়ান সুপার লিগ থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর পরিকল্পনা থাকলেও সেটা কার্যকরী হয়নি। পরাজিত হতে হয়েছে একের পর এক ম্যাচ। এই নিয়ে হতাশ সকলেই। যারফলে প্রাক্তন কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাতের পরিকল্পনার পাশাপাশি বারংবার প্রশ্নের মুখে উঠেছিল দলের রক্ষণভাগের ভূমিকা।
এমন পরিস্থিতিতে দলের দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ান তৎকালীন কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাত। যারফলে নতুন কোচ কে হবেন সেই নিয়ে উঠে আসতে শুরু করেছিল একাধিক প্রশ্ন। তবে এক্ষেত্রে প্রথম থেকেই শোনা গিয়েছিল অস্কার ব্রুজনের (Oscar Bruzon) নাম। সেটাই হয়েছে এবার। পরবর্তীতে দলের দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয় এই স্প্যানিশ কোচের হাতে। তাঁর হাত ধরেই ধীরে ধীরে ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে ময়দানের এই প্রধান। গত মাসে এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগের গ্ৰুপ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ইস্টবেঙ্গল। পাশাপাশি গত ডার্বি ম্যাচে তাঁরা আটকে দিয়েছিল শক্তিশালী মহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবকে। এমনকি গত ম্যাচে ও তাঁরা পরাজিত করে নর্থইস্ট ইউনাইটেডকে।
বলতে গেলে এই কোচের হাত ধরেই ধীরে ধীরে ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে ইস্টবেঙ্গল। এ যেন এক বদলে যাওয়া ইস্টবেঙ্গল। যা রীতিমতো চমকে দিচ্ছে সকলকে। বদলের নায়ক অস্কার ব্রুজন। ভারতীয় ফুটবলের সার্কিটে তিনি নতুন নন। পূর্বে স্পোর্টিং ক্লুব থেকে শুরু করে মুম্বাই সিটির দলের দায়িত্ব সামাল দিতে দেখা গিয়েছিল এই কোচকে। এমনকি গত সিজনে বাংলাদেশের শক্তিশালী ফুটবল ক্লাব বসুন্ধরা কিংসকে ও তুলে এনেছিলেন অন্যমাত্রায়। তবে এবার নতুন দায়িত্ব। ইস্টবেঙ্গল যে তাঁর কাছে কতটা গুরুত্বপূর্ণ সেই কথা তুলে ধরেছেন নিজেই।
একটি সাক্ষাৎকারে লাল-হলুদের দায়িত্বের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ” যে মুহুর্তে আমি ইস্টবেঙ্গল থেকে অফার পেয়েছি, আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম যে আমাকে এখানে কোচিং করতে হবে। সেই সময়ে, আমি ইন্দোনেশিয়ায় ছিলাম, সেখানে একটি ক্লাবের হয়ে সই করার পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু ইস্টবেঙ্গলের প্রস্তাব পাওয়ার পরে, আমি ইন্দোনেশিয়ার ক্লাব ছেড়ে এখানে এসেছি ।” তাঁর এমন মন্তব্য নিঃসন্দেহে মন জয় করেছে সকল সমর্থকদের।