গত মঙ্গলবার আইএসএলের এগারো তম ম্যাচ খেলতে নেমেছিল ইমামি ইস্টবেঙ্গল (East Bengal)। যেখানে তাঁদের লড়াই করতে হয়েছিল শক্তিশালী পাঞ্জাব এফসির সঙ্গে। শেষ পর্যন্ত দুই গোলের ব্যবধানে এই ম্যাচ জিতে নেয় কলকাতা ময়দানের এই প্রধান। যারফলে এগারো ম্যাচে দশ পয়েন্ট নিয়ে লিগ টেবিলের এগারো নম্বরে থাকল গতবারের সুপার কাপ জয়ীরা। তবে এবারের এই জয়টা খুব একটা সহজ ছিলনা ক্লেটনদের কাছে। আজমির সুলজিক এবং ভিদালের গোলে এগিয়ে গিয়েছিল প্যানাজিওটিস ডিলমপেরিসের পাঞ্জাব।
যারফলে ব্যাপক চাপে পড়ে গিয়েছিল মশাল ব্রিগেড। তবে দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই নিজেদের পুরনো ছন্দে ধরা দিতে থাকে ইস্টবেঙ্গল। ম্যাচের চতুর্থ কোয়ার্টারেই গোল শোধ করে দেন হিজাজি মাহের। তারপর সময় যত এগিয়েছে ততই ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে দেখা যায় অস্কার ব্রুজনের ছেলেদের। যা সামাল দিতে গিয়ে কার্যত কালঘাম ছুটেছিল পাঞ্জাব এফসির ডিফেন্ডারদের। পরিস্থিতি সামাল দিতে গিয়ে আত্মঘাতী গোল ও করে বসেছিলেন মেইতেই। তবে ম্যাচের পঞ্চম কোয়ার্টারে পাঞ্জাবের কফিনে শেষ পেরেকটি পুঁতে যান দলের তরুণ ফরোয়ার্ড ডেভিড লালহানসাঙ্গা।
দলের এমন পারফরম্যান্স নিয়ে যথেষ্ট খুশি ইস্টবেঙ্গলের স্প্যানিশ কোচ। ম্যাচ শেষে তিনি বলেন, ” দলের প্রথমার্ধের পারফরম্যান্স নিয়ে প্রচন্ড আশাহত হয়েছিলাম। তবে ছেলেদের বলেছিলাম দ্বিতীয়ার্ধে আক্রমণ বাড়াতে হবে। নাহলে সেই সুযোগ নিয়ে প্রতিপক্ষ দল আরও গোল করবে। আমি খুশি ছেলেরা আমার কথা শুনেছে। ওরা আক্রমনে উঠে গোল পেয়েছে। আজ এই ম্যাচে যারাই সুযোগ পেয়েছে সকলেই নিজেদের সেরাটা উজাড় করে দিতে পেরেছে।” পাশাপাশি নাওরেম মহেশ সিংয়ের প্রসঙ্গে ও যথেষ্ট ইতিবাচক থাকতে দেখা যায় অস্কার ব্রুজনকে।
তিনি বলেন, “প্রথমার্ধের শেষ দিকে মহেশের মাথার পিছনে চোট এসেছিল। ও নাকি তেমন কিছু বুঝতে পারছিল না। তাই কোনও রকম ঝুঁকি না নিয়ে ওকে মাঠ থেকে তুলে নেই। যদিও মহেশের চোট খুব একটা গুরুতর নয়। আশা করি পরবর্তী জামশেদপুর ম্যাচের আগেই সম্পূর্ণ ফিট হয়ে যাবে। দলের সঙ্গে অনুশীলন করবে।”