East Bengal : এবার ওডিশার বুকে নতুন ফুটবল অ্যাকাডেমি লাল-হলুদের 

গত কয়েক বছর ধরেই ভারতীয় ফুটবলের উন্নয়নের ক্ষেত্রে যথেষ্ট সক্রিয়তা দেখিয়ে আসছে ওডিশা ফুটবল ফেডারেশন (Odisha Football Association)। এবার ইস্টবেঙ্গল (East Bengal) ক্লাবের দিকেও সাহায্যের…

East Bengal-Mohun Bagan

গত কয়েক বছর ধরেই ভারতীয় ফুটবলের উন্নয়নের ক্ষেত্রে যথেষ্ট সক্রিয়তা দেখিয়ে আসছে ওডিশা ফুটবল ফেডারেশন (Odisha Football Association)। এবার ইস্টবেঙ্গল (East Bengal) ক্লাবের দিকেও সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে চলেছে তারা। চোখ ধাঁধানো ফুটবল মাঠের পাশাপাশি মাঠের যাবতীয় ক্ষেত্রে একেবারে অঙ্কুর স্তর থেকে ক্রীড়ার উন্নতি সাধন করাই অন্যতম লক্ষ্য তাদের। সেকারনেই গত বছর ওডিশার কলিঙ্গ স্টেডিয়ামের বুকে আয়োজিত হয় ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপের মতো আন্তর্জাতিক স্তরের ফুটবল টুর্নামেন্ট। যেখানে ফুটবলারদের সক্রিয়তার পাশাপাশি দর্শকদের যাতায়াতের মতো যাবতীয় খুঁটিনাটি বিষয়ের দিকেও নজর রাখা হয়। সেই ফুটবল টুর্নামেন্টেই শক্তিশালী লেবানন দলকে নিজেদের ঘরের মাঠে পরাজিত করে ট্রফি জিতেছিল সুনীল ব্রিগেড। যা আত্মবিশ্বাস অনেকটাই বাড়িয়ে দিয়েছিল সুনীল-গুরপ্রীতদের। 

পাশাপাশি ভারতীয় ফুটবল দলের আত্মবিশ্বাস ও বাড়িয়ে দিয়েছিল অনেকটা। তবে সেখানেই শেষ নয়। পরবর্তীতে ক্লাব ফুটবলের ক্ষেত্রে ও ওডিশার পরিকাঠামো যথেষ্ট নজর কাড়তে সক্ষম হয় সকলের। যার অন্যতম উদাহরণ কলিঙ্গ সুপার কাপ। শেষ মরশুমে সার্জিও লোবেরার শক্তিশালী ওডিশা এফসিকে পরাজিত করে ট্রফি নিশ্চিত করে কার্লোস কুয়াদ্রাতের ইমামি ইস্টবেঙ্গল ফুটবল ক্লাব। যার দরুন গত ১২ বছরের ট্রফিয খড়া কেঁটে যায় ময়দানের এই প্রধানের।

আবার ও আন্তর্জাতিক ফুটবল টুর্নামেন্টে নিজেদের সেরাটা উজাড় করে দেওয়ার লড়াই মহেশদের। তবে শুধুমাত্র দাপুটে ফুটবলার সাইন করানোই নয়, দেশের তরুণ প্রতিভাবানদের তুলে আনার ক্ষেত্রে ও যথেষ্ট সক্রিয়তা দেখিয়েছে ইমামি ম্যানেজমেন্ট। সেইমতো গত কয়েক মরশুমে তুহিন-জেসিনের পাশাপাশি সায়ন ব্যানার্জীর মতো তরুণ প্রতিভাদের দেখা মিলেছে লাল-হলুদ জার্সিতে। 

কিন্তু সেখানেই শেষ নয়। এবার দেশীয় প্রতিভা তুলে আনার ক্ষেত্রে আরও যথেষ্ট সচেষ্ট সকলে। এক্ষেত্রে অধিক সক্রিয়তা দেখা গিয়েছে ওডিশা ফুটবল ফেডারেশনের। এই মর্মেই ইমামি ইস্টবেঙ্গল ফুটবল ক্লাবকে বিশেষ চিঠি প্রদান করেন ওডিশা ফুটবল ফেডারেশনের সচিব আশির্বাদ বেহড়া। সেখানে দেশীয় ফুটবলের কল্যানে লাল-হলুদের সক্রিয়তার কথাও ব্যাপকভাবে উল্লেখ করা হয়। এছাড়াও যথেষ্ট সক্রিয়তা যথেষ্ট জগমোহন পট্টনায়ক। সব ঠিকঠাক থাকলেও ফুটবলের কল্যান সাধনের ক্ষেত্রে এবার এক সুতোয় বাঁধা পড়তে চলেছে দুই রাজ্য।