সাময়িক বিরতির পর এবার দারুণ ছন্দে ওডিশা এফসি (Odisha FC)। বিরাট বড় ব্যবধানে এবার জয় পেল সার্জিও লোবেরার ছেলেরা। গত ম্যাচে নিজেদের ঘরের মাঠে এগিয়ে থেকেও আসেনি জয়। শেষ পর্যন্ত পয়েন্ট ভাগাভাগি করে মাঠ ছাড়তে হয়েছিল মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের সঙ্গে। যা নিঃসন্দেহে হতাশ করেছিল সকল সমর্থকদের। সেই হতাশা কাটিয়ে নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী সোমবার সন্ধ্যায় অ্যাওয়ে ম্যাচ খেলতে নেমেছিল জগন্নাথের রাজ্যের এই ফুটবল ক্লাব। যেখানে তাঁদের প্রতিপক্ষ হিসেবে ছিল থাংবোই সিংটোর হায়দরাবাদ এফসি। সম্পূর্ণ সময়ের শেষে ৬-০ গোলের ব্যবধানে আসলো জয়।
এদিন ওডিশা এফসির হয়ে গোল করেন যথাক্রমে ভানলালরুয়াথফেলা, দিয়াগো মাউরিসিও, মুর্তাজা ফল, লালথাথাংঙ্গা খাওলহরিং ওরফে পুইতিয়া, এবং রহিম আলি। এছাড়াও একটি আত্মঘাতী গোল করে বসেন হায়দরাবাদ এফসির গোলরক্ষক লালবিয়াখলুয়া জংতে। এই জয়ের ফলে ৯ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে ইন্ডিয়ান সুপার লিগের চার নম্বরে উঠে আসলো রয় কৃষ্ণাদের দল। এমন বিরাট ব্যবধানে সাফল্য নিঃসন্দেহে অনেকটাই আত্মবিশ্বাস বাড়াবে দলের সকল ফুটবলারদের। অন্যদিকে, গত কেরালা ম্যাচের পর এই ম্যাচে ও জয় ধারার বজায় রাখার লক্ষ্য থাকলেও সেটা সম্ভব হয়নি হায়দরাবাদের।
গত ম্যাচের পর এদিন ঘরের মাঠে অ্যালেক্স সাজিরা খেলতে নামলেও প্রথম থেকেই দাপট থেকেছে ওডিশা ফুটবলারদের। প্রথমার্ধের প্রথম কোয়ার্টারের মধ্যেই একের পর এক আক্রমণ উঠে আসতে শুরু করে হুগো বুমোস থেকে শুরু করে আহমেদ জাহুদের তরফ থেকে। তাঁদের আটকাতে গিয়ে কাঁপুনি ধরে গিয়েছিল হায়দরাবাদের রক্ষণভাগে। সাময়িকভাবে সেটি সামাল দেওয়া সম্ভব হলেও খুব একটা কার্যকরী হয়নি। ম্যাচের ১২ মিনিটের মাথায় গোল করে দলকে এগিয়ে দেন ভানলালরুয়াথফেলা। সেই ধাক্কা কাটিয়ে ওঠার কিছু সময়ের মধ্যে ফের গোল। এবার বল জালে জড়িয়ে যান ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড দিয়াগো মাউরিসিও।
প্রথমার্ধের শেষে ২-০ গোলের ব্যবধানে এগিয়ে থাকে ওডিশা এফসি। তারপর দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই আরও চাপ বাড়াতে শুরু করে লোবেরার ছেলেরা। তা সামাল দিতে গিয়ে কার্যত নাস্তানাবুদ হতে হয় প্রতিপক্ষের রক্ষণভাগকে। এই পরিস্থিতিতে বল বিপদ মুক্ত করতে গিয়ে নিজের জালেই বল ঢুকিয়ে দেন জংতে। সেই আত্মঘাতী গোলেই বেড়ে যায় ব্যবধান। তারপর ম্যাচের পঞ্চম কোয়ার্টারে আরও দুটো গোল। এবার ব্যবধান বাড়িয়ে গেলেন ডিফেন্ডার মুর্তাজা ফল এবং ভারতীয় তারকা পুইতিয়া। শেষ পর্যন্ত ম্যাচের ৮৯ মিনিটের মাথায় হায়দরাবাদের কফিনে শেষ পেরেক পুঁতে যান বাঙালি ফরোয়ার্ড রহিম আলি।