অভাবের সংসারে হাল ধরতে সবজি বিক্রি করছেন ভারতের বিশ্বকাপজয়ী ক্রিকেটার

নিউজ ডেস্ক: করোনা সংক্রমণের দলে গত বছরের ২৪শে মার্চ দেশে শুরু হয়েছিল লকডাউন। তাতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতির মুখে পড়েছেন দেশের দিন আনা- দিন খাওয়া মানুষেরা।…

World-Cup

নিউজ ডেস্ক: করোনা সংক্রমণের দলে গত বছরের ২৪শে মার্চ দেশে শুরু হয়েছিল লকডাউন। তাতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতির মুখে পড়েছেন দেশের দিন আনা- দিন খাওয়া মানুষেরা। যদিও শুধু তারাই নন, জীবনযুদ্ধে লড়াই করতে পথে নেমেছেন প্রচুর মানুষ। গত বছর থেকেই পেটের টানে জীবিকা বদলাতে বাধ্য হয়েছে অনেকে। এবার একই পথ বেছে নিলেন দেশের হয়ে দ্বিতীয়বার ক্রিকেট বিশ্বকাপজয়ী টিমের সদস্যও। ক্রিকেট ছেড়ে সবজি বিক্রি শুরু করেছেন তিনি।

আরও পড়ুন অভাবের সংসার: পার্কিং অ্যাটেনডেন্টের কাজ করছেন বক্সিংয়ে জাতীয় চ্যাম্পিয়ন রিতু

   

করোনা সংক্রমণ না কমলেও ইংল্যান্ডে সিরিজ খেলতে গিয়েছেন বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মারা। অন্যদিকে, দিনকয়েক আগেই শ্রীলঙ্কা সফরে গিয়েছিল ভারতের আরেক টিম। করোনাকালেও যাবতীয় আলো ছিল তাদের ওপরেই। ঠিক তখনই অন্ধকারে জীবনযদ্ধের রসদ খুঁজে বেড়াচ্ছেন ভারতের বিশ্বকাপ জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেওয়া সদস্য।

India vs Pakistan: Blind Cricket World Cup: India beat Pakistan by two  wickets in thrilling final to retain title | Cricket News - Times of India

২০১৮ সালে দৃষ্টিহীনদের বিশ্বকাপে চিরপ্রতিদ্বন্ধী পাকিস্তানকে হারিয়ে দ্বিতীয়বার বিশ্বকাপ ঘরে তুলেছিল টিম ইন্ডিয়া। টুর্নামেন্টে ভারতীয় দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন নরেশ তুমদা। বিশ্বকাপ জিতে দিল্লিতে ফেরার পর গোটা দলকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছিল। সেই সভায় ছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরাও। উপস্থিত সকলেই আশ্বাস দিয়েছলেন, জয়ী টিমের প্রত্যেক সদস্যকে চাকরী দেওয়া হবে। কিন্তু, বিশ্বকাপ জেতার পর প্রায় তিন বছর কেটে গেলেও এখনও চাকরী পাননি কেউই।

Blind Cricket World Cup Winner Naresh Tumda Forced To Work As Labourer,  Asks PM For Job

 

আরও পড়ুন অভাবে বন্ধ স্বপ্ন দেখা, অলিম্পিকে মশাল হাতে দৌড়ানো পিঙ্কি এখন চা-বাগানের শ্রমিক

লকডাউনে সংসারে অভাব বাড়ায় রাস্তায় নামতে হয়েছে নরেশকে। বর্তমানে গুজরাতের নওসারীতে সবজি বিক্রি করেন তিনি। মাঝে মাঝে দিনমজুরের কাজও করেন। সংবাদমাধ্যমকে নরেশ জানিয়েছেন, “দিনমজুরের কাজ করে দিনে ২৫০ টাকা রোজগার করি। এর আগে বিশ্বকাপ জিতে ফেরার পর অনেকে আশ্বাস দিয়েছিলেন যে আমরা প্রত্যেকেই চাকরী পাব। আমি নিজে তিনবার মুখ্যমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ জানিয়েছি, কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে কোনো সাড়া পাইনি।”