Mukesh Kumar: ট্যাক্সির ব্যাবসায় ঢ্যারা কেটে টেস্টের মাঠে বাংলার পেসার; মাকে ফোন করে নির্বাক মুকেশ

ভারতের ৩০৮ নম্বর “ব্যাগি ব্লু” পড়ে গতকাল জীবনের প্রথম টেস্ট ম্যাচ খেললেন মুকেশ কুমার। বিহারের গোপালগঞ্জের ছেলে। ছোটো মফস্বলের আর পাঁচটা ছেলের মতোনই স্বপ্নের পিছনে…

ভারতের ৩০৮ নম্বর “ব্যাগি ব্লু” পড়ে গতকাল জীবনের প্রথম টেস্ট ম্যাচ খেললেন মুকেশ কুমার। বিহারের গোপালগঞ্জের ছেলে। ছোটো মফস্বলের আর পাঁচটা ছেলের মতোনই স্বপ্নের পিছনে ধাওয়া করতে করতে হড়ো শহরে আসা। সেখানে থেকে জীবনের সাতে নিরন্তর লড়াই খথে অবশেষে মাথা তুলে দাঁড়ানোর আরো একটা উদাহরণ মুকেশ কুমার।

প্রথম দিন মাঠে বোলিং করে ঘরে এসে প্রথমেই ফোন করলেন মাকে। মা বিহারেই। আবেগের সাথে জানালেন মুকেশ, তিনি টেস্ট খেলেছেন। মা খুশি। ফোনের ওপার থেকে আশীর্বাদ করলেন, বললেন, “খুশি থাকো। এগিয়ে যাও। আমার আশীর্বাদ আছে তোমার সাথে।”

প্রথম দিন একেবারে খেলতে না পারার মতো বল করেননি তিনি। সাদামাটা পেসে একটু সিম মুভমেন্ট। খেলাই যায়। তবে খাতায় কলমে “নিখুঁত” তো বলাই যায়।

আপ্লুত মুকেশ বলেন, “এই মুহূর্তটি আমার জীবনে ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। বলে বোঝাতে পারবো না ঠিক কতটা খুশি আমি। সকালেই অভিষেক ম্যাচ খেললাম, বিকেলেই মায়ের সাথে কথা হল। ভাষায় বোঝাতে পারবো না। অশ্বিন ভাইয়ের থেকে আমার টেস্ট অভিষেকের টুপি পেলাম। আমার জীবনের সত্যিই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিন আজ।”

বাবার ট্যাক্সির ব্যবসা। চাইতেন না ছেলে ক্রিকেট খেলুক। এক বখর সময় দিয়েছিলেন তিনি। ওই এক বখরে কিছু না হলে ট্যাক্সি চালাতে বে মুকেশকেও। এদিকে ছেলের ক্রিকেট খেলার সখ অজানা ছিল না বাবার।

কতকটা বাবার ইচ্ছার বিরুদ্ধে গিয়ে ২০১২তে কোলকাতায় আসা। পাড়ায় পাড়ায় ৪০০-৫০০ টাকার খেপ খেলতেন দ্বিতীয় শ্রেণীর ঘরোয়া লিগ গুলোতে।

বাবা কাশীনাথ সিং বেঁচে নেই। থাকলে সাদা জার্সিতে ছেলেকে দেখে যারপরনাই খুশি সতেন নিশ্চয়ই।