সাক্ষাৎ মৃত্যুপুরী! উত্তেজক ম্যাচ শেষে ১২৭ জনের মৃত্যুর আশঙ্কা

একশো সাতাশজনের মৃত্যুর আশঙ্কা। সংখ্যাটা আরও বাড়তে পারে। আহতের সঠিক সংখ্যা এখনও জানা যায়নি, গোনার কাজ চলছে। ইন্দোনেশিয়ার Arema বনাম Persebaya Surabaya ফুটবল ম্যাচ শেষে…

সাক্ষাৎ মৃত্যুপুরী! উত্তেজক ম্যাচ শেষে ১২৭ জনের মৃত্যুর আশঙ্কা

একশো সাতাশজনের মৃত্যুর আশঙ্কা। সংখ্যাটা আরও বাড়তে পারে। আহতের সঠিক সংখ্যা এখনও জানা যায়নি, গোনার কাজ চলছে। ইন্দোনেশিয়ার Arema বনাম Persebaya Surabaya ফুটবল ম্যাচ শেষে ঘটেছে মর্মান্তিক এই ঘটনা। পুলিশের ভূমিকা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। 

আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থার রিপোর্ট অনুযায়ী, ইন্দোনেশিয়ার ফুটবল লিগে মুখোমুখি হয়েছিল জনপ্রিয় দুই ক্লাব। ম্যাচে ৩-২ গোলে হেরে গিয়েছিল আরেমা ফুটবল দল। এরপরেই দর্শকদের একটা বড় অংশ Kanjuruhan স্টেডিয়ামের গ্যালারি ছেড়ে নেমে পড়েছিল মাঠে। বেগতিক বুঝে তড়িঘড়ি মাঠে ছেড়ে পালিয়ে যায় সুরাবায়া দলের খেলোয়াড়রা। কিন্তু আরেমার ফুটবলারদের কেউ কেউ মাঠে আটকে পড়েছিলেন বলে মনে করা হচ্ছে। 

পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে গ্যালারি লক্ষ্য করে কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। এরপর উপস্থিত দর্শকদের মধ্যে শুরু হয়ে যায় হুড়োহুড়ি। সংবাদ সংস্থার অনুমান, মৃত্যুর সংখ্যা ১২৭। মৃত্যুর কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে- বিশৃঙ্খলা, অত্যধিক দর্শক উপস্থিতি এবং শ্বাস কষ্ট। শ্বাস কষ্টের জন্য অনেকে দায়ী করছেন কাঁদানে গ্যাস ব্যবহারের সিদ্ধান্তকে। 

Advertisements

মর্মান্তিক এই ঘটনার পর এক সপ্তাহের জন্য বাতিল করা হয়েছে ইন্দোনেশিয়ার এই ফুটবল লিগ। লিগ কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকেও মৃত্যুর কথা স্বীকার করা হয়েছে, তবে কোনও সংখ্যার কথা উল্লেখ করা হয়নি। কর্তৃপক্ষের তরফে ঘটনার প্রতি দুঃখ প্রকাশ করা হয়েছে। 

প্রাথমিক কিছু মিডিয়া রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে, আনুমানিক ৪০ হাজার মানুষ স্টেডিয়ামে উপস্থিত ছিলেন। যার মধ্যে মাঠে ঢুকে পড়েছিলেন প্রায় ৩ হাজারজন। পুলিশের দাবি, ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তেরোটি গাড়ি, যার মধ্যে দশটি পুলিশের।