বাঙালির মনে তিনি এখনও সেই জয় বাবা ফেলুনাথের বডি বিল্ডার হয়েই রয়ে গিয়েছেন। সেই চেহারা, সেই বাইশেপ এখনও বাঙালিকে নস্টালজিক করে তোলে। মনোহর আইচ সেই বাঙালি বডি বিল্ডার যিনি অন স্ক্রিন বলেছিলেন, ‘শরীরটা আমার কাছে মন্দির’।
১৯৫০ সালে তিনি মিস্টার হারকিউলিস খেতাব জেতেন। ১৯৫২ সালে মিস্টার ইউনিভার্স খেতাবে ভূষিত হন। এশিয়ার সেরা বডি বিল্ডারের খেতাবও তিনি পান। তাঁর স্বল্প উচ্চতার জন্য তাঁকে পকেট হারকিউলিস নামে ডাকা হতো।
শোনা যায় তিনি খুব ভাত খেতে ভালবাসতেন। তিনি বলতেন, ” পান্তা ভাতের জল তিন পুরুষের বল।” শরীর চর্চা ছিল তাঁর কাছে ঈশ্বরের মতো। তিনি নিয়ম করে ব্যায়াম করে গিয়েছেন। ছোটবেলায় তিনি কালাজ্বরে আক্রান্ত হয়েছিলেন। তখন তাঁর বয়স মাত্র ১২। শোনা যায় সেই সময় তিনি মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে আসেন।
ছোট থেকেই খেলাধুলার প্রতি তাঁর টান ছিল মারাত্মক। বিশেষত কুস্তীর প্রতি তাঁর আকর্ষণ ছিল দারুণ। জাদুকর পিসি সরকারের সঙ্গে তিই এক সময় খেলা দেখাতে শুরু করেন। শুধু তাই নয় তাঁর জীবন বিভিন্ন চড়াই-উতরাই মধ্যে দিয়ে গিয়েছেন কিন্তু কখনও দুশ্চিন্তা তাঁকে গ্রাস করেনি। একবার বিজেপির টিকিটে ভোটে লড়েন।
বাঙালির এই আইকন আজকের দিনে ১৯১২ সালে বাংলাদেশের কুমিল্লা জেলার ধামতি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। এই কিংবদন্তী ব্যক্তিত্ব মারা যান ২০১৬ সালের ৫ জুন। তখন তার বয়স হয়েছিল ১০৪ বছর। শতায়ু হলেও তিনি ছিলেন শক্ত সমর্থ। শেষদিকে বার্ধক্যজনিত সমস্যায় আক্রান্ত হয়েছিলেন তিনি।