কলকাতা: আর কয়েক ঘন্টার অপেক্ষা। তারপরেই শুরু হবে ডুরান্ড ডার্বি (Mohun Bagan vs East Bengal)। মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট, ইস্টবেঙ্গল এফসি দুই দলই রবিবার তারকাখচিত একাদশ মাঠে নামবে বলে আশা করা হচ্ছে। ফুটবলে গোল শেষ কথা। যে দল গোল করবে সেই দলের ম্যাচ জেতার স্বভাবনা তত বেশি।
আনোয়ারের অভাব ভোগাতে পারে মোহনবাগানকে? চিন্তার ভাঁজ মলিনার কপালে
আধুনিক ফুটবলে গোল করার ক্ষেত্রে স্ট্রাইকার বা ফরোয়ার্ডদের অনেকাংশে তাকিয়ে থাকতে হয় মাঝমাঠের দিকে। মাঝমাঠ থেকে বল সাপ্লাই যত বেশি হবে গোল করার সুযোগ বাড়বে তত। মোহন-ইস্ট দুই দলেরই মাঝমাঠ বেশ শক্তিশালী। আঠারো অগস্টের ডুরান্ড ডার্বিতে দুই পক্ষের মাঝমাঠের দ্বৈরথ হতে পারে দেখার মতো। ইস্টবেঙ্গলের মাঝমাঠে থাকছে সাউল ক্রেসপো- মাদিহ তালাল জুটি। সেই সঙ্গে সৌভিক চক্রবর্তী। উইংয়ে নাওরেম মহেশ সিং, নন্দকুমার শেখর। মাদিহ তালাল লাল হলুদ জার্সিতে ইতিমধ্যে নিজের জাত চিনিয়েছেন।
গত মরসুমের মতো এবারের মরসুমেও ইস্টবেঙ্গল এফসির মাঝমাঠের মূল চালিকা শক্তি ক্রেসপো। ক্রেসপো-তালাল কম্বিনেশন বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের বিরুদ্ধে। ইস্টবেঙ্গলের বিদেশি মিডফিল্ড জুটির বিরুদ্ধে মোহনবাগানের হেড কোচ হোসে মলিনা স্বদেশী ব্রিগেডের ওপর ভরসা করতে পারেন। ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে মলিনা আপুইয়া, সাহাল আব্দুল সামাদ, অনিরুধ থাপা-দের নাম বিবেচনা করতে পারেন মলিনা। সবুজ মেরুনের হয়ে উইংয়ে অপারেট করতে পারেন লিস্টন কোলাসো কিংবা মনভীর সিং।
ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে শুরু থেকে দীপক টাংরি?
দিমি পেত্ৰাতসকে অনুশীলনে বেশ চনমনে দেখিয়েছে। নতুন মরসুমে এখনও পর্যন্ত মাঠে নামেননি। ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে মলিনা তাঁকে ব্যবহার করেন কি না সেটাও হবে দেখার বিষয়।