Mohun Bagan vs East Bengal : সুভাষ ভৌমিকের মাস্টার স্ট্রোক, বাঘের মতো খেলেছিল ইস্টবেঙ্গল

Mohun Bagan vs East Bengal : ইস্টবেঙ্গল অধিনায়ক চন্দন দাস তাঁর বিয়ের আগে ডুরান্ড কাপের (Durand Cup)) চেয়ে উপযুক্ত উপহার চাইতে পারতেন না। এছাড়াও, দুটি…

Mohun Bagan vs East Bengal

Mohun Bagan vs East Bengal : ইস্টবেঙ্গল অধিনায়ক চন্দন দাস তাঁর বিয়ের আগে ডুরান্ড কাপের (Durand Cup)) চেয়ে উপযুক্ত উপহার চাইতে পারতেন না। এছাড়াও, দুটি গোলই তাঁর পা থেকে এসেছিল কারণ ১০ জনের ইস্টবেঙ্গল বুধবার মোহনবাগানকে ২-১ গোলে হারিয়ে ১৬ তম বারের মতো ডুরান্ড শিরোপা অর্জন করেছিল।

চন্দন প্রতি অর্ধে একটি করে গোল করেছিলেন। ২২ মিনিটে পেনাল্টি থেকে একটি গোল ও ইনজুরি টাইমের স্বপ্নের মতো সেই গোলটি করেছিলেন। মোহাম্মদ হাবিবের (১৯৭০) পর তিনি দ্বিতীয় খেলোয়াড় হিসেবে ইস্ট বেঙ্গল বনাম মোহনবাগান ডুরান্ডের ফাইনালে দুটি গোল করেন। অধিনায়ক তার ক্লাবের হয়ে সর্বোচ্চ গোলদাতাও হয়েছেন চার গোল করে।

চোদ্দ বছর আগকার কথা। লাল-হলুদ শিবিরে মরসুমের প্রথম ট্রফি। ডুরান্ড কাপ জয়। তা-ও আবার চির প্রতিদ্বন্দ্বী মোহন বাগানকে হারিয়ে। ১৯৯৪ সালের ডুরান্ড ফাইনালে পরাজিত হয়েছিল ইস্টবেঙ্গল।

সেই সময় ইস্টবেঙ্গলের অধিনায়ক ছিলেন চন্দন দাস। ‘৯৪-এর সেই ম্যাচে এক নজির স্পর্শ করেছিলেন তিনি। দুই অর্ধে গোল করেছিলেন তিনি। ইস্টবেঙ্গল বনাম মোহন বাগান ডুরান্ড ফাইনালে এর আগে এই নজির গড়েছিলেন মহম্মদ হাবিব, ১৯৭০ সালে। পিটার থাঙ্গারাজ, সৈয়দ নঈমুদ্দিন, শ্যাম থাপা, আই এম বিজয়ন, জো পল আনচেরি এবং রজত ঘোষ দস্তিদার ময়দানের তিন প্রধানের হয়েই ডুরান্ড কাপ জিতেছিলেন।

মোহন বাগানের বিরুদ্ধে এই ম্যাচে ইস্টবেঙ্গল পরিচিত আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলতে পারেনি। তবুও তারা জয় পেয়েছিল। ইস্টবেঙ্গলের পরিকল্পনা স্পষ্ট ছিল- বাগানের অ্যাটাকিং মিডফিল্ডারদের থামানো এবং তারপর কাউন্টারে গিয়ে গোল করা। কিন্তু ম্যাচের ৭৫ মিনিটে মাধবকে লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়তে হয়েছিল। তখন ম্যাচে আধিপত্য ছিল মোহনবাগানের। এই সময়ের মধ্যে তারা সমতাসূচক গোল করেছিল। ৭৬তম মিনিটে নোয়েল উইলসনের একটি ফ্রি-কিক দুর্ভাগ্যবশত ডগলাস দা সিলভার গায়ে লেগে।

কোচ সুভাষ ভৌমিকের প্রত্যাবর্তন ম্যাচের ওপর দারুণ প্রভাব ফেলেছিল বলে এখনও মনে করা হয়। একজন লাল কার্ড দেখার পরেও জিতেছিল ইস্টবেঙ্গল। দলে একটি পরিবর্তন করেছিলেন তিনি। সেলউইন ফার্নান্দেজের বদলে দলে এনেছিলেন ক্লাইম্যাক্সকে। ক্লাইম্যাক্সের বাড়ানো বল থেকেই চন্দন জয় সূচক গোলটি করেছিলেন।

বাগানের দুই বিদেশী সমর্থকদের চূড়ান্ত হতাশ করেছিলেন। স্ট্রাইকার জেমস উগো বড় ম্যাচের চাপ সামলাতে ব্যর্থ হয়েছিলেন। চোট পেয়েছিলেন অপর বিদেশি ফুটবলার এডুয়ার্ডো কোয়েলহো। ৪০ মিনিটের মধ্যে দু’জনকেই মাঠ থেকে তুলে নিতে হয়েছিল। রক্ষণে কোয়েলহোর অনুপস্থিতি দলের জন্য একটি বড় ধাক্কা ছিল।

২২ তম মিনিটে নোয়েল উইলসনের ভুলই ইস্টবেঙ্গলের প্রথম গোলটি পেয়েছিল। একটি কর্নার থেকে শাইলো মালসাওমতলুঙ্গা দূরের পোস্ট লক্ষ্য করে একটি ক্রস ভাসিয়েছিলেন। ডগলাস গোলমুখে এগিয়ে গিয়েছিলেন। বাগান ডিফেন্ডাররা বক্সের বাইরে বল ক্লিয়ার করতে ব্যর্থ হয়েছিলেন। এই সময় বক্সে মধ্যে ধাক্কাধাক্কির ফলে রেফারি পি কে বোস তৎক্ষণাৎ পেনাল্টির সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। গোল করতে ভুল করেননি চন্দন।