গত ১৬ ই সেপ্টেম্বর থেকে এএফসি চ্যাম্পিয়নস লিগ শুরু করেছে মোহনবাগান (Mohun Bagan ) সুপার জায়ান্ট। সল্টলেকের যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে তাঁদের লড়াই করতে হয়েছিল তুর্কমেনিস্তানের শক্তিশালী ফুটবল ক্লাব আহাল এফকের সঙ্গে। শেষ পর্যন্ত একটি গোলের ব্যবধানে এই ম্যাচে জয় ছিনিয়ে নেয়েছে বিদেশের এই ফুটবল দল। সেই নিয়ে যথেষ্ট হতাশ বাগান সমর্থকরা। ঘরের মাঠে ব্যাপক আত্মবিশ্বাসের মধ্যে দিয়ে ম্যাচ শুরু করলেও শেষ পর্যন্ত রক্ষণাত্মক ফুটবলই হয়তো সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়াল দলের কাছে। তবে দ্বিতীয়ার্ধে একাধিক বদলের মধ্যে দিয়ে সবুজ-মেরুন কিছুটা ছন্দে ধরা দিলেও গোলের দেখা মেলেনি।
শেষ পর্যন্ত একটি গোলের ব্যবধানে জয় পায় প্রতিপক্ষ ফুটবল দল। এই ধাক্কা কাটিয়ে আগামী ৩০শে সেপ্টেম্বর টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় ম্যাচ খেলতে নামবে মোহনবাগান। অ্যাওয়ে ম্যাচে তাঁদের লড়াই করতে হবে সেপাহান এসসির সঙ্গে। আগের তুলনায় ম্যাচটা যে অনেকটাই কঠিন হতে চলেছে সেটা নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না। তবে পুরনো সমস্ত হতাশা ভুলে এবার ঘুরে দাঁড়াতে চাইবেন বাগান কোচ হোসে মোলিনা। তবে এক্ষেত্রে দলের বিদেশি ফুটবলারদের নিয়ে যাওয়া নিয়ে ব্যাপক জটিলতা দেখা দিয়েছে বাগান শিবিরে।
আসলে এবার দেখা দিয়েছে ভিসাগত সমস্যা। উল্লেখ্য, যুক্তরাজ্যের পাশাপাশি অস্ট্রেলিয়ান ভিসাধারী একাধিক ফুটবলার রয়েছে সবুজ-মেরুনে। যাদের মধ্যে রয়েছেন টম অলড্রেড থেকে শুরু করে জেসন কামিন্স, জেমি ম্যাকলারেন এবং দিমিত্রি পেত্রাতোস। প্রথম সারির এই ফুটবলারদের ছাড়া বিদেশের মাটিতে গিয়ে জয় ছিনিয়ে আনা যে অনেকটাই চ্যালেঞ্জিং সেটা ভালো মতোই জানেন সকলে। আসলে জানা গিয়েছে, নানাবিধ কারণে কোনও অজি ফুটবলাররা ইরানে যাওয়ার ভিসা আবেদন করতে পারবেন না। এক্ষেত্রে দুই দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি ব্যাপকভাবে সক্রিয় করেছে গোটা বিষয়টিকে।
যারফলে তড়িঘড়ি করে নিজেদের সমস্যা মেটাতে চাইছে সবুজ-মেরুন ম্যানেজমেন্ট। দিনকয়েকের মধ্যেই সেই নিয়ে হয়তো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে মোহনবাগান। তবে দলের এই চার বিদেশিকে রেখে ইরান উড়ে গেলে, তা অনেকটাই চাপে ফেলে দিতে পারে বিশাল কাইথদের।