কল্যাণী: ক্যালকাটা পুলিশের বিরুদ্ধে ম্যাচেও বোঝা গেল না মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের (Mohun Bagan) কোচ ডেগি কার্ডজার পরিকল্পনা। মোহনবাগান ফুটবলারদের পায়ে প্রায় ৬০ শতাংশ ক্ষেত্রে বলের দখল থাকলেও এল না পুরো পয়েন্ট। আরও একটা ম্যাচ ড্র করলে সবুজ মেরুন ব্রিগেড। আশার আলো বলতে সুহেল আহমেদ ভাট ও ফারদিন আলি মোল্লা।
Jamie McLaren: গোল করা ছাড়াও জেমির আরও একটা বিষয় কাজে লাগবে মোহনবাগানের
খাতায় কলমে কিংবা নামের বিচারে ক্যালকাটা পুলিশের থেকে এগিয়ে মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট। চলতি কলকাতা ফুটবল লিগের পারফরম্যান্স বলছে অন্য কথা। বাগান পয়েন্ট লিস্টের নিচের দিকে, ক্যালকাটা পুলিশ রয়েছে ক্রম তালিকার প্রথম তিনে।
প্রথমর্ধে পুলিশ শুরু করেছিল রক্ষণাত্মক স্ট্রাটেজি নিয়ে। নিজেদের ডিফেন্স লাইনের শেপ বজায় রাখছিলেন প্রীতম কুন্ডু, কৌশিক গোয়ালারা। মোহনবাগান একাধিক সেট পিস পেলেও কাজের কাজ হচ্ছিল না।
চোটের কারণে বিরতির আগেই পরিবর্তন করতে হয়েছিল ডেগি কার্ডজাকে। টংসিনের জায়গায় মাঠে নামানো হয় ফারদিন আলি মোল্লাকে। ফারদিন মাঠে নেমেই প্রভাব বিস্তার করলেন। তাঁর করা কর্নার কিক থেকে গোল করেন সুহেল। মোহনবাগান ১-০ গোলে এগিয়ে যাওয়ার পর পেয়ে গিয়েছিল পেনাল্টি। সদ্য মাঠে নামা ফারদিন গিয়েছিলেন স্পট কিক নিতে। মিস করলেন। ফারদিনের মারা শট রুখে দেন পুলিশের গোলরক্ষক মহিদুল কয়াল। মোহনবাগান আরও একটা পেনাল্টি আদায় করে নিয়েছিল এবং মিস করেছিল। ফারদিনের পর পেনাল্টি থেকে গোল করতে ব্যর্থ হন অভিষেক সূর্যবংশী।
East Bengal FC: মরসুম শুরু হওয়ার আগেই পরিকল্পনা জানিয়ে দিলেন কুয়াদ্রত!
মোহনবাগানের লিড বজায় ছিল মিনিট ১৫ পর্যন্ত। সবুজ মেরুন দলের তিনজন ফুটবলারের সামনে দিয়ে গোল করে যান রবি দাস। রবি দাসের সামনে উপস্থিত ছিলেন সুমিত রাঠি, সায়ন দাসরা। প্রতিপক্ষ ফুটবলারকে বাধা না দিয়ে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখলেন বল জালে জড়ানোর দৃশ্য। ১-১ স্কোরলাইনেই শেষ হয়েছে এদিনের ম্যাচ।