শনিবার রিলায়েন্স ফাইন্ডেশন ডেভলপমেন্ট লিগের ম্যাচে নেমেছিল মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট (Mohun Bagan SG)। দিল্লি ইউনিভার্সিটির মাঠে সুদেভার বিরুদ্ধে ছিল খেলা। খেলার শুরুটা ভালো করেছিল বাগান। শেষ পর্যন্ত বাজিমাত করে সুদেভা দিল্লি।
বিকেলে ম্যাচ থাকায় রোদ ছিল পড়তির দিকে। বাংলার মতো দিল্লিতে রোদের তেজ এতোটা না থাকলেও বিকেলে ম্যাচ হওয়ার ফলে দুই দলের ফুটবলাররা বাড়তি সুবিধা পেয়েছিলেন। মোহনাবাগান শুরু থেকে আত্মবিশ্বাসী ফুটবল খেলার চেষ্টা করেছে। নিজেদের মধ্যে ছোটো ছোটো পাস খেলে আক্রমণ গড়ে তোলার চেষ্টা করেছেন রবি রানারা। আরএফডিএল-এর গত ম্যাচে মুম্বই সিটি এফসিকে ২-১ গোলে হারিয়েছিল বাগানের জুনিয়র ব্রিগেড।
সেই জয়ের রেশ নিয়েই এদিন মাঠে নেমেছিলেন বাগানের যুব দল। সুদেভা আক্রমণ গড়ে তোলার চেষ্টা করলেও সফল হয়নি। বাগান ডিফেন্স ছিল মজবুত। রাজ বাস্ফোরা রক্ষণে নিজেদের পজিশন বজায় রাখার ব্যাপারে বেশ মন দিয়েছেন। মোহনবাগানের এই দলের খেলা দেখে স্পষ্ট ছেলেরা একসঙ্গে বেশ কিছু দিন ধরে খেলছে। সেই সঙ্গে কয়েকজনের রয়েছে সিনিয়র দলের খেলার অভিজ্ঞতা। আক্রমণ গড়ার সময় উইংয়ের ব্যবহার চোখে পড়ছে। মাঝে মধ্যে দেখা গিয়েছে ওয়ান টাচ পাস। গতি ছিল আক্রমণে। তবে মিস পাস হয়েছে কিছু। এক সময় মনে হচ্ছিল ম্যাচের রাশ সবুজ মেরুন ফুটবলারদের। ঠিক তখনই সুদেভার গোল।
৩৫ মিনিটে সেট পিস থেকে গোল করে যান সুদেভা দিল্লি। মোহনবাগান যে লয়ে খেলা শুরু করেছিল পরের দিকে সেটা আর ধরে রাখতে পারেনি। সুযোগের সদব্যবহার করে সুদেভা। তাড়াহুড়ো না করে অপেক্ষা করেছিল সঠিক সময়ের জন্য। পরে আরও দুটি গোল করে তারা। মোহমবাগান দেয় এক গোল। সুদেভার পক্ষে ম্যাচ শেষ হয়েছে ৩-১ ব্যবধানে।
বাগানের পক্ষে একমাত্র গোলটি করেছেন ফারদিন আলী মোল্লা। সুদেভার একটি গোল এসেছে সেট পিস থেকে, একটি গোল হয়েছে প্রায় মাঝমাঠ থেকে। গোলকিপার অনেকটা এগিয়ে এসেছিলেন। সেই সুযোগ নিয়েছিল সুদেভা। আর একটি গোল হয়েছে মোহনবাগান ডিফেন্ডারদের নিজেদের বক্সে অহেতুক ঝুঁকি নেওয়ার ফলে।