সূচি অনুযায়ী রবিবার সন্ধ্যায় ইন্ডিয়ান সুপার লিগের (Indian Super League) হোম ম্যাচ খেলতে নেমেছে মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট (Mohun Bagan SG)। যেখানে তাঁদের লড়াই করতে হচ্ছে সার্জিও লোবেরার শক্তিশালী ওডিশা এফসির সঙ্গে। বলাবাহুল্য, এটি কোনও সাধারণ ম্যাচ নয়। বলতে গেলে মোহনবাগানের জন্য লিগ শিল্ড জয়ের ম্যাচ। গত কেরালা ম্যাচের পর এই ম্যাচে জয় আসলেই চলতি আইএসএল মরসুমের লিগ শিল্ড সুনিশ্চিত করে ফেলবে কলকাতা ময়দানের এই প্রধান। পয়েন্টের ক্ষেত্রে আর কোনও দল ছুঁতে পারবে না শুভাশিস বসুদের। স্বাভাবিকভাবেই অন্যান্য ম্যাচগুলি তুলনায় এই ম্যাচকে কেন্দ্র করে প্রথম থেকেই উন্মাদনা চরমে থেকেছে সমর্থকদের মধ্যে।
আসলে ঘরের মাঠে খেতাব জয়ের সুযোগ কিছুতেই হাতছাড়া করতে রাজি নন বাগান কোচ জোসে মোলিনা। সেইমতো নিজের একাদশ সাজিয়েছিলেন তিনি। অজি গোলমেশিন জেমি ম্যাকলারেন থেকে শুরু করে স্কটিশ ফরোয়ার্ড গ্ৰেগ স্টুয়ার্ট হোক কিংবা ভারতীয় তারকা মনবীর সিং, লিস্টন কোলাসো। প্রথম থেকেই নজর কেড়েছেন প্রত্যেকে। অপরদিকে, ম্যাচের আগেই আহমেদ জাহু ক্লাব ছাড়লে ও তাঁর অনুপস্থিতি খুব একটা যেন প্রভাব ফেলতে পারেনি পারফরম্যান্সে। কিন্তু সহজে হাল ছেড়ে দেওয়ার নয় জগন্নাথের রাজ্যের এই ফুটবল ক্লাব। তাই যখনই সুযোগ এসেছে বাগান রক্ষণভাগে হানা দিয়েছেন ইসাক ভানলালরুয়াতফেলা থেকে শুরু করে রাহুল কেপির মতো ফুটবলাররা।
কিন্তু গোলের মুখ খোলা সহজ ছিল না। বিশেষ করে আলবার্তো রদ্রিগেজ এবং টম অলড্রেডের মতো ফুটবলাররা থাকতে রক্ষণভাগে ফাঁটল ধরানো যে সহজ নয় সেটা ভালো মতোই জানেন সার্জিও লোবেরা। তবে প্রথম থেকেই প্রতিপক্ষকে চাপে রেখেছিলেন হুগো বুমোস। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। বিশাল কাইথের দক্ষতায় নিয়ন্ত্রণে আসে পরিস্থিতি। তবে সেটা সাময়িক মাত্র। অতি আক্রমণে ওঠা মোহনবাগান যে কতটা ভয়ানক সেটা নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না। মনবীর সিং হোক কিংবা দীপক টাংরি। সুযোগ আসলেও সদ্ব্যবহার করতে পারেননি কেউ। মাঝে জেমি ম্যাকলারেনকে করা ফাউল থেকে পেনাল্টির পরিস্থিতি তৈরি হলেও সেটি নাকচ করে দেন ম্যাচ রেফারি।
এমনকি প্রথমার্ধের শেষ লগ্নে এসে গোলে সুবর্ণ সুযোগ পেয়ে গিয়েছিলেন গ্ৰেগ স্টুয়ার্ট। তবে ওডিশা গোলরক্ষক অমরিন্দর সিংয়ের দক্ষতায় নিয়ন্ত্রণে চলে আসে পরিস্থিতি। বলাবাহুল্য, তাঁর দুইটি সেভেই আটকে যায় মোহনবাগান। এভাবেই শেষ হয় প্রথমার্ধ। তবে দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই গোল তুলে নিতে তৎপর বাগান ব্রিগেড। বর্তমানে ৫৭ মিনিটের খেলা অতিক্রম হয়ে গেলেও ফলাফলের বদল ঘটেনি।