ইস্টবেঙ্গলকে ঘৃণা করেন? বিতর্কিত প্রশ্নে সপাট জবাব দেবাশিষের

বাঙালি মানেই ফুটবলের প্রতি এক অমোঘ আকর্ষণ। আর বাঙালি ফুটবল সমর্থকদের কাছে ফুটবল মানেই মোহনবাগান এবং ইস্টবেঙ্গল (Mohun Bagan vs East Bengal)। আপাতত কর্পোরেট মোড়কে…

Debashsis Dutta on East Bengal FC

বাঙালি মানেই ফুটবলের প্রতি এক অমোঘ আকর্ষণ। আর বাঙালি ফুটবল সমর্থকদের কাছে ফুটবল মানেই মোহনবাগান এবং ইস্টবেঙ্গল (Mohun Bagan vs East Bengal)। আপাতত কর্পোরেট মোড়কে ৯০ মিনিটের লড়াইয়ে নামলেও, শতাব্দীপ্রাচীন এই দুই ফুটবল ক্লাবের প্রতি সমর্থকদের আবেগ নিয়ে আজ আর আলাদা করে কিছু বলার দরকার নেই। কিন্তু, এই দুটো ক্লাবের মধ্যে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বিতা বছরের পর বছর ধরে চলেই আসছে। আর সেকারণেই দুই দলের সমর্থকদের মধ্যে বিভিন্ন সময় ঝামেলার সাক্ষী থাকে শহর কলকাতা। মোহনবাগান সমর্থকরা আদৌ ইস্টবেঙ্গলকে ঘৃণা করেন? এই ব্যাপারে যোগ্য উত্তর দিলেন বাগান সচিব দেবাশিস দত্ত।

   

সম্প্রতি অল স্পোর্টস টিভি’র পডকাস্ট অনুষ্ঠানে এসেছিলেন দেবাশিস দত্ত। সেখানে তাঁকে প্রশ্ন করা হয়েছিল যে ইস্টবেঙ্গল ক্লাবকে তিনি ঘৃণা করেন কি না? জবাবে বাগান সচিব বললেন, ‘একেবারেই না। আমি ইস্টবেঙ্গলকে যথেষ্ট সম্মান করি। কারণ একটাই, আমি মনে করি যে ওরা আমাদের পরিপূরক। ওরা যদি না থাকে, তাহলে মোহনবাগানের অস্তিত্বই প্রশ্নের মুখে এসে দাঁড়াবে। সেকারণে মোহনবাগানের অস্তিত্ব বজায় রাখতে গেলে ইস্টবেঙ্গলকে খুবই দরকার।’

ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের হাতে আক্রান্ত সাংবাদিক, ভর্তি হাসপাতালে

এই প্রসঙ্গে আপনাদের জানিয়ে রাখি, মোহনবাগান বনাম ইস্টবেঙ্গল ম্যাচকে আমরা সচরাচর ‘বড় ম্যাচ’ বলেই জানি। উইকিপিডিয়া থেকে প্রাপ্ত পরিসংখ্যান থেকে জানা গিয়েছে, মোহনবাগান এখনও পর্যন্ত ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে ১১৫টি ম্যাচে জয়লাভ করেছে। অন্যদিকে, ইস্টবেঙ্গল একটা ম্যাচে জয়ে পিছিয়ে রয়েছে। সম্প্রতি কলকাতা ফুটবল লিগে এই দুই দল একে অপরের বিরুদ্ধে খেলতে নেমেছিল। এই ম্যাচে লাল-হলুদ ব্রিগেড ২-১ গোলে জয়লাভ করেছিল। তবে আগামী ১৮ অগস্ট আবারও ডুরান্ড কাপের মঞ্চে এই দুটো দল ফের ৯০ মিনিটের লড়াইয়ে নামতে চলেছে। গত মরশুমের ডুরান্ড ফাইনালে এই ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধেই জয়লাভ করে ট্রফি জিতেছিল মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট। এবার সেই হারের বদলা ইস্টবেঙ্গল নিতে পারে কি না, সেটাই আপাতত দেখার।