কলকাতা বিমানবন্দরে ইস্টবেঙ্গল (East Bengal FC) সমর্থকদের হাতে আক্রান্ত হয়েছেন বাংলার ক্রীড়া সাংবাদিক অরিত্র দত্ত। আপাতত তিনি একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। গোটা ঘটনায় ইতিমধ্যেই তীব্র প্রতিবাদের ঝড় উঠতে শুরু করেছে। যদিও ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের পক্ষ থেকে এই ব্যাপারে এখনও পর্যন্ত কোনও আনুষ্ঠানিক বিবৃতি পাওয়া যায়নি।
কী হয়েছে ঘটনাটি? রবিবার মধ্যরাতে কলকাতায় পা রাখেন ইস্টবেঙ্গলের নয়া ফুটবলার আনোয়ার আলি। তাঁকে স্বাগত জানাতে দমদম বিমানবন্দরে বেশ কয়েকজন ইস্টবেঙ্গল সমর্থক হাজির হয়েছিলেন। ছিলেন হাতেগোনা কয়েকজন সাংবাদিকও। আনোয়ারের খবর কভার করতে দমদম বিমানবন্দরে গিয়েছিলেন ‘এক্সট্রা টাইম বাংলা’র ক্রীড়া সাংবাদিক অরিত্রও। জানা গিয়েছে, আনোয়ারকে বিমানবন্দরের অন্য একটি গেট দিয়ে বের করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। ঠিক সেইসময় ইস্টবেঙ্গল সমর্থকরা নিজেদের মধ্যে ঝামেলা করতে থাকে। সেই ছবিটাই অরিত্র কভার করতে গিয়েছিলেন অরিত্র। সেখানেই তিনি ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের হাতে প্রহৃত হয়। অবস্থা এতটাই কঠিন হয়ে যায়, তাঁকে শেষপর্যন্ত হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
Aritra Basu, a journalist from XtraTime, happens to be a Mohun Bagan fan, went to airport last night to cover Anwar Ali’s arrival, but,he was attacked by the East Bengal hooligans and he is hospitalized now.
What was his fault? He was a Mohun Bagan fan 🤷
Shame on EB Hooligans pic.twitter.com/hjGUOzOKyF
— Mohun Bagan Fan (@MohunBagan_Fan) August 12, 2024
এই প্রসঙ্গে এক্সট্রা টাইম বাংলার কর্ণধার অনিলাভ চট্টোপাধ্যায় বললেন, ‘মোহনবাগান, ইস্টবেঙ্গল এবং মহমেডানের বহু সমর্থক আমাদের চেনেন। আমার মনে হয় সমাজে এখনও পর্যন্ত শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষ রয়েছেন। তাঁরাই এই ঘটনার বিচার করবেন।’
উল্লেখ্য, সম্প্রতি (১০ অগস্ট) সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের প্লেয়ার স্টেটাস কমিটি আনোয়ার আলিকে নো অবজেকশন সার্টিফিকেট দিয়েছিল। সেকারণে তিনি প্রথমে দিল্লি এফসি’তে ফিরে যান। তারপর ইস্টবেঙ্গল ক্লাবে যোগ দেন। এই ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসার পর লাল-হলুদ সমর্থকরা কার্যত উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েন। প্রিয় ফুটবলারকে রিসিভ করতে সেকারণেই তারা রবিবাসরীয় রাতে কলকাতা বিমানবন্দরে হাজির হয়েছিলেন।
পঞ্জাবের ২৩ বছর বয়সি এই ফুটবলার মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের সঙ্গে নির্ধারিত সময়ের আগেই চুক্তিভঙ্গ করেছেন। ইতিমধ্যে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গে ইতিমধ্যে তাঁর পাঁচ বছরের চুক্তি হয়ে গিয়েছে।