গত বছরের মত এবারও দুরন্ত ছন্দে ধরা দিয়েছে মোহনবাগান (Mohun Bagan ) সুপার জায়ান্ট। টুর্নামেন্টের শুরুটা খুব একটা ভালো ছিল না আগেরবারের লিগ শিল্ড জয়ীদের। প্রথম ম্যাচেই আটকে যেতে হয়েছিল শক্তিশালী মুম্বাই সিটি এফসি বিপক্ষে। যা নিঃসন্দেহে হতাশ করেছিল সকল সমর্থকদের। তবে পরবর্তীতে সময় যত এগিয়েছে ততই ছন্দে ফিরেছে সবুজ-মেরুন। মাঝে বেশ কয়েকবার ধাক্কা খেতে হলেও গত বেশ কয়েক ম্যাচ ধরেই দারুন ছন্দে রয়েছে কলকাতা ময়দানের এই প্রধান। শেষ দুইটি ম্যাচে জামশেদপুর এফসির পাশাপাশি চেন্নাইয়িন এফসির মত শক্তিশালী দলের বিপক্ষে ও জয় পেয়েছিল শুভাশিস বসুর দল।
সেই ধারা বজায় রাখার লক্ষ্য ছিল মেরিনার্সদের। তবে কার্ড সমস্যা থাকায় এদিন খেলতে পারেননি দলের অধিনায়ক শুভাশিস বসু এবং স্প্যানিশ ডিফেন্ডার আলবার্তো রদ্রিগেজ। যারফলে এই ম্যাচের আগে অনেকটাই চাপে ছিল বাগান সমর্থকরা। তবে সময় এগোনোর সাথে সাথেই যথেষ্ট আক্রমণাত্মক মেজাজে দেখা গিয়েছিল বাগান ফুটবলারদের। তাঁদের আটকাতে গিয়ে কার্যত কালঘাম ছোটার মত পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল প্রতিপক্ষ ফুটবলারদের। শেষ পর্যন্ত দুই গোলের ব্যবধানে আসে জয়।
তবুও দলের এমন পারফরম্যান্স নিয়ে খুব একটা খুশি নন বাগান কোচ জোসে মোলিনা। তাঁর কথায় সময় যত এগোবে প্রতিযোগিতা আরও জটিল হয়ে উঠবে। সেক্ষেত্রে দলের ফুটবলারদের সর্বদা নিজেদের সেরাটা উজাড় করে দিতে হবে। পাশাপাশি ফিজিক্যাল ফিটনেসের দিকে ও বাড়তি নজর দিতে হবে।
ম্যাচ শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, ” আমাদের সব ক্ষেত্রেই আরও উন্নতি করতে হবে। আক্রমণ, রক্ষণের পাশাপাশি ট্রানজিশন এবং সেটপিস সব কিছুতেই দলকে আরও উন্নত করে তুলতে চাই আমি। কিন্তু আমি জানি কখনওই আমরা নিখুঁত হতে পারবো না। ছেলেরা প্রতিদিন প্রচণ্ড খাটলেও নিখুঁত হতে পারবে না। আমরা মানুষ। প্রতিদিনই উন্নতি করার চেষ্টা করতে হবে। তবে যেটুকু উন্নতি হচ্ছে তাতে আমি যথেষ্ট আশাবাদী।”
মোলিনা আরও বলেন, ” প্রত্যেকটা ম্যাচই আমাদের কাছে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ন। সেটা হোম ম্যাচ হোক বা অ্যাওয়ে ম্যাচ। লিগ জিততে হলে আমাদের সব ম্যাচেই জেতার চেষ্টা করতে হবে। নিজেদের সেরাটা দিতে হবে।”