এক ঝলকেই ‘সবুজ তোতা’কে নিয়ে আবেগেপ্রবণ বাগান প্রাক্তনী

    প্রবীর দাস (Prabir Das) এবং হোসে রামিরেজ ব্যারেটো (Jose Barreto), দুজনেই মোহনবাগানের (Mohun Bagan) ইতিহাসের অমূল্য রত্ন। ফুটবল মাঠে সবুজ-মেরুন জার্সিতে তাঁদের অবদান এক…

Mohun Bagan Footballer Prabir das meet Jose Barreto at Mumbai Airport

short-samachar

   

প্রবীর দাস (Prabir Das) এবং হোসে রামিরেজ ব্যারেটো (Jose Barreto), দুজনেই মোহনবাগানের (Mohun Bagan) ইতিহাসের অমূল্য রত্ন। ফুটবল মাঠে সবুজ-মেরুন জার্সিতে তাঁদের অবদান এক কথায় অপূরণীয়। আজও তাদের সম্পর্কে কথা বললে বাগানের ইতিহাসের সেই স্বর্ণালী সময়ের কথা মনে পড়ে। কয়েক মরসুম আগেই কলকাতা ছেড়ে অন্য দলে নাম লিখিয়েছিলেন বাগান প্রাক্তনী প্রবীর দাস। তবে প্রাক্তন ক্লাবের প্রতি তাঁর ভালোবাসা আজও অমলিন। সম্প্রতি, মুম্বই এয়ারপোর্টে (Mumbai Airport) মোহনবাগানের আরেক কিংবদন্তি ব্যারেটো তথা বাগান সমর্থকদের ‘সবুজ তোতা’র সঙ্গে সাক্ষাৎ হয় প্রবীর দাসের। এরপর তাঁর অভিজ্ঞতা সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছেন, যা একান্তভাবে আবেগময় এবং হৃদয়ছোঁয়া।

২০৩৬ অলিম্পিক দেশের কোন শহরে? বার্তা প্রধানমন্ত্রীর

প্রবীর দাসের জীবনের এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় ছিল মোহনবাগান। ২০১৫ সালে প্রথমবারের মতো সবুজ-মেরুন জার্সি গায়ে চাপিয়েছিলেন তিনি। ২০১৭ সাল পর্যন্ত সেই জার্সি গায়ে তাণ্ডব চালানোর পর, ইন্ডিয়ান সুপার লিগে যোগ দেন এটিকেতে। পরবর্তীতে মোহনবাগান এবং এটিকের সংযুক্তিকরণের ফলে আবারও তিনি ঘরে ফিরেছিলেন। যদিও আজ তিনি মুম্বই সিটির হয়ে খেলছেন, তবুও মোহনবাগান তার হৃদয়ের এক বিশেষ জায়গা দখল করে রেখেছে।

মরসুমের মাঝপথে অভিভাবক হারালেন কলকাতা ময়দানের তৃতীয় প্রধান

সম্প্রতি, মুম্বই এয়ারপোর্টে এক অদ্ভুত ঘটনাটি ঘটেছে। প্রবীর দাস একাকী বসে ছিলেন, তখন হঠাৎ চোখে পড়ে এক পরিচিত মুখ। সেই মুখ ছিল হোসে রামিরেজ ব্যারেটো। প্রবীর লিখেছেন, “সময়টা প্রায় মাঝরাত। ব্যক্তিগত কাজের জন্য কলকাতায় আসছিলাম, ভাবিনি এয়ারপোর্টে এমন এক সময়ের মুখোমুখি হব। একাকী বসে ফোনে কিছু দেখতে দেখতে হঠাৎ চোখে পড়ে কোঁকড়ানো চুলের সেই পরিচিত মুখ।”

প্রবীর দাসের জন্য এটি একটি স্মরণীয় মুহূর্ত ছিল, কারণ ব্যারেটো শুধু তাঁকে চিনতেন না। বরং তাঁর খেলা এবং সোশ্যাল মিডিয়াও ফলো করতেন। প্রবীর দাস জানান, “ব্যারেটো আমার কাছে এসে বললেন, ‘তুমি কি প্রবীর? আমি তোমাকে চিনি, তোমার খেলা দেখেছি।’ এই কথা শুনে আমি অবাক হয়ে গিয়েছিলাম।”

২০৩৬ অলিম্পিক দেশের কোন শহরে? বার্তা প্রধানমন্ত্রীর

এই সাক্ষাতের পর, দুজনেই দীর্ঘক্ষণ মোহনবাগান নিয়ে কথা বলেন। মোহনবাগান শুধু তাদের পেশাদার জীবনেরই অংশ ছিল না, এটি ছিল তাদের হৃদয়ের অঙ্গ। প্রবীর দাস নিজেই জানিয়েছেন, “দু ঘন্টার সময়জুড়ে শুধু মোহনবাগান ছিল আমাদের মধ্যে। সত্যি বলতে, মোহনবাগান আমাদের হৃদয় জুড়ে রয়েছে।”

এই সাক্ষাৎ শুধুমাত্র দুই ফুটবলারের মধ্যে সম্পর্কেরই পরিচয় দেয়নি, বরং এটি ফুটবল জগতের একটি আবেগী বন্ধনকেও তুলে ধরেছে। আজও, মোহনবাগানের প্রতি তাঁদের অগাধ ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা যেন কোনো সীমা জানে না।

হারের খরা কাটানোর লক্ষ্য নর্থইস্টের, বার্তা বেনালি-চেম্বাকাথের