আর মাত্র ২৪ ঘন্টার অপেক্ষা৷ তারপরেই ২০২২-২৩ আইএসএল (ISL) মরসুমের ঢাকে কাঠি পড়ে যাবে। আগামীকাল ,৭ অক্টোবর কোচির কল্লুরের জওহরলাল নেহেরু স্টেডিয়ামে খেলতে নামছে ইস্টবেঙ্গল এফসি (East Bengal FC), প্রতিপক্ষ কেরালা ব্লাস্টার্স এফসি।
অন্যদিকে, ভারতীয় ফুটবল এরিনাতে সবথেকে চর্চ্চিত খেলোয়াড় ফিজিয়ান ‘গোল্ডেন বয়’ রয় কৃষ্ণ এবার শিবির বদল করেছেন। ATK মোহনবাগান থেকে উড়ে গিয়েছেন বেঙ্গালুরু এফসিতে। সদ্য সমাপ্ত ডুরান্ড কাপ এবং AFC ইন্টারজোনাল সেমিফাইনাল ম্যাচে সবুজ মেরুন ব্রিগেডে স্কোরারের অভাব প্রতি খেলাতেই জ্বল জ্বল করে উঠেছে,যা দেখে এখন বাগান সমর্থকদের স্কোরার নিয়ে হাপিত্যেশ করা ছাড়া আর কিছুই নেই। ফিজিয়ান গোলমেশিন রয় কৃষ্ণকে ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত ভুল ছিল তা ২০২২-২৩ ফুটবল সেশনের শুরুতেই ধরা পড়েছে ATKMB টিম ম্যানেজমেন্টের কাছেও। আর তুরুপের এই তাসকে হাতে পেয়েই ডুরান্ড কাপে বাজিমাৎ করেছে চ্যাম্পিয়ন হয়ে বেঙ্গালুরু এফসির হেডকোচ সাইমন গ্রেসন।
এবার প্রহর গোণা শুরু আসন্ন ইন্ডিয়ান সুপার লিগ(ISL) নিয়ে। হেডকোচ সাইমন গ্রেসনের স্কোয়াডে বিদেশী খেলোয়াড় আলেকজান্ডার জোভানোভিচ, জাভিয়ের হার্নান্দেজ, রয় কৃষ্ণ, প্রিন্স ইবাররা, ব্রুনো রামিরেস এবং অ্যালান কস্তা এই ছয় খেলোয়াড়ই বিপদজনক হয়ে উঠতে পারে ISL টাইটেলশিপে বল যত গড়াবে।
সাইমন গ্রেসনের দলে আক্রমণের মুখ অবশ্যই রয় কৃষ্ণ। বেঙ্গালুরু এফসিতে(BFC) সুনীল ছেত্রীর সাথে রয় কৃষ্ণ’র ডুয়েল ইতিমধ্যেই পরখ করেছে ভারতীয় ফুটবল ডুরান্ড কাপে।
ব্লুজ’রা হার্নান্দেজকে সই করিয়েছে তার সৃজনশীল আউটপুটের মাধ্যমে আক্রমণের পাশাপাশি মিডফিল্ড এই দুই পজিশনের মধ্যে সাপ্লাই লাইনকে সংযুক্ত করতে। আর ঠিক এই জায়গাতেই BFC দলে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছেন ডিফেন্ডার জোভানোভিচের হাজিরা।গোটা টিম গেমের গুটি গোছানোর শেষ মুহুর্তের চূড়ান্ত ব্যস্ততার মধ্যে রয়েছেন বেঙ্গালুরু এফসির হেডকোচ সাইমন গ্রেসন। দলের এই ৬ বিদেশী খেলোয়াড় ডিফেন্স থেকে মিডফিল্ড হয়ে আপফ্রন্টে প্রতিপক্ষের জালে বল জড়াতে মুখিয়ে রয়েছে।
আর সবুজ মেরুন জনতা ফিজিয়ান গোল্ডেন বয় রয় কৃষ্ণ’র ‘ম্যাজিক’ হতাশাকে পাথেয় করেই টিভি স্ক্রিন এবং যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে চোখ রাখবে, ATK মোহনবাগান বেঙ্গালুরু এফসি’র ম্যাচে, যা হবে ৩ ডিসেম্বর সুনীল ছেত্রীদের ঘরের মাঠে কান্তিরাভা স্টেডিয়াম এবং ৫ ফেব্রুয়ারি কলকাতায়।