এবছর ডুরান্ড কাপ জয় করার পর পঞ্জাব এফসিকে পরাজিত করে আইএসএল অভিযান শুরু করেছিল মোহনবাগান (Mohun Bagan )। তারপর হায়দরাবাদ এফসি থেকে শুরু করে জামশেদপুর হোক কিংবা সুনীল বিহীন বেঙ্গালুরু এফসি। সকলের বিপক্ষেই জয় তুলে নিতে থাকে মোহনবাগান। তবে এই টুর্নামেন্টের প্রথম লেগের শেষের দিকে এসে ক্রমশ ছন্দ হারাতে থাকে এই ফুটবল দল। যার প্রভাব পড়ে এএফসি কাপের মতো আন্তর্জাতিক ফুটবল টুর্নামেন্টে।
বলাবাহুল্য, গতবছর এএফসি কাপের ইন্টারজোনাল সেমিফাইনালে দল পৌঁছলে ও এবছর অধিক শক্তিশালী দল নিয়ে ও খুব একটা সুবিধা করা সম্ভব হয়নি তাদের পক্ষে। এবছর ছিটকে যেতে হয়েছে একেবারে প্রথম দিকে। যা নিয়ে প্রবল হতাশ ছিলেন সবুজ-মেরুন সমর্থকরা। পরবর্তীতে আইএসএলের ম্যাচে ওডিশা ম্যাচে আর্মান্দো সাদিকুর গোলে মান রক্ষা হলেও পরবর্তীকালে মুম্বাই সিটি এফসি থেকে শুরু করে এফসি গোয়ার মতো দলের বিপক্ষে একেবারে তথৈবচ অবস্থা দেখা দেয় মোহনবাগানের। এমনকি গতকাল নিজেদের ঘরের মাঠে ইভান ভুকোমানোভিচের কেরালা ব্লাস্টার্স দলের বিপক্ষে ও পরাজিত হতে হয়েছে তাদের।
উল্লেখ্য, এবারের এএফসি কাপে সার্জিও লোবেরার ওডিশা এফসি থেকে শুরু করে মালদ্বীপের মাজিয়া স্পোর্টসের মতো দলের বিপক্ষে ও সহজ জয় তুলে নিয়েছিল মোহনবাগান সুপারজায়ান্টস ফুটবল দল। তবে প্রতিবেশী দেশ তথা বাংলাদেশের শক্তিশালী ফুটবল দল বসুন্ধরা কিংসের বিপক্ষে প্রথম লেগে কোনোরকমে গোলশূন্য ড্র করেছিল সবুজ-মেরুন ব্রিগেড। তারপর দ্বিতীয় লেগে কিংস এরিনায় এগিয়ে থেকে ও পরাজিত হতে হয়েছিল তাদেরকে। এক্ষেত্রে ভারতীয় উইঙ্গার লিস্টন কোলাসোর গোলে মোহনবাগান এগিয়ে থাকলেও পরবর্তীতে তা আর ধরে রাখা সম্ভব হয়নি। বসুন্ধরা দলের অন্যতম ভরসাযোগ্য তারকা রবিনহোর সক্রিয়তায় জয়ের আশা শেষ হয়ে যায় মেরিনার্সদের।
এবার সেই দাপুটে ফুটবলার তথা ব্রাজিলিয়ান তারকা রবিনহোকে নাকি মাস ছয়ের জন্য লোনের মাধ্যমে দলে নিতে চাইছে মোহনবাগান সুপারজায়ান্টস। শুনতে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি। পূর্বে ও এই তারকাকে দলে টানতে যথেষ্ট আগ্ৰহ প্রকাশ করেছিল কলকাতা ময়দানের এই প্রধান। তবে সেই সময় রবিনহোকে ছাড়তে অস্বীকার করে বাংলাদেশের এই শক্তিশালী ফুটবল দল। তবে এবার এই নয়া পদ্ধতিতে নাকি ব্রাজিলিয়ান তারকাকে দলে পেতে চাইছে মোহনবাগান। যতদূর, সেইমতো কথাবার্তা ও নাকি ইতিমধ্যেই অনেকদূর এগিয়ে গিয়েছে।