মোহনবাগান ট্রফির জন্য খেলে, মুখ খুললেন বাগান অধিনায়ক

গত কেরালা ম্যাচের পর বজায় থাকল জয়ের ধারা। রবিবার সল্টলেকের যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে দিয়াগো মাউরিসিওদের ওডিশা এফসিকে পরাজিত করল মোহনবাগান (Mohun Bagan) সুপার জায়ান্ট। তবে শুধু…

Subhasish Bose Praises Jamie Maclaren Performance

গত কেরালা ম্যাচের পর বজায় থাকল জয়ের ধারা। রবিবার সল্টলেকের যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে দিয়াগো মাউরিসিওদের ওডিশা এফসিকে পরাজিত করল মোহনবাগান (Mohun Bagan) সুপার জায়ান্ট। তবে শুধু ম্যাচ জয় করাই নয়। ইন্ডিয়ান সুপার লিগের ইতিহাসে সর্বোচ্চ পয়েন্ট নিয়ে পুনরায় শিল্ড ঘরে তুলে নিল কলকাতা ময়দানের এই প্রধান। এদিন ঘরের মাঠে ম্যাচ থাকায় প্রথম থেকেই যথেষ্ট দাপুটে মেজাজে দেখা গিয়েছিল সবুজ-মেরুন ফুটবলারদের। মনবীর সিং থেকে শুরু করে দীপক টাংড়ি হোক কিংবা জেমি ম্যাকলারেন। একাধিকবার গোলের সহজ সুযোগ করে নিয়েছিলেন প্রত্যেকে।

   

কিন্তু কিছুতেই ফিনিশ করা সম্ভব হচ্ছিল না তাঁদের পক্ষে। এক্ষেত্রে প্রধান বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল প্রতিপক্ষের তারকা ডিফেন্ডার মুর্তাজা ফল এবং গোলরক্ষক অমরিন্দর সিং। বিশেষ করে প্রথমার্ধের শেষ লগ্নে ওডিশার রক্ষণভাগে হানা দিয়ে গোলের মুখ খোলার সুযোগ পেয়ে গিয়েছিলেন স্কটিশ ফরোয়ার্ড গ্ৰেগ স্টুয়ার্ট। কিন্তু কাজের কাজ করতে পারেনি তিনি। বরং অত্যন্ত দক্ষতার সাথে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছিলেন ওডিশার গোলরক্ষক। স্বাভাবিকভাবেই অমীমাংসিত ফলাফলে শেষ হয় ম্যাচের প্রথমার্ধ। তবে দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই প্রবল চাপ বাড়াতে শুরু করে বাগান ব্রিগেড।

তবে কিছুতেই গোলের মুখ সম্ভব হচ্ছিল না‌। নির্ধারিত নব্বই মিনিটের পরে ও অপরিবর্তিত ছিল ম্যাচের ফলাফল। কিন্তু কথায় আছে। ওস্তাদের মার শেষ রাতে। ম্যাচের অতিরিক্ত সময়ের মধ্যেই ভারতীয় তারকা মনবীর সিংয়ের পাস থেকে বল নিয়ে সোজা ওডিশার রক্ষণভাগে ঢুকে পড়েন অজি তারকা দিমিত্রি পেত্রাতোস। তাঁর দুরপাল্লার শট পোস্টের গা ঘেঁষে চলে যায় জালের মধ্যে। তাঁর গোলেই এবার শিল্ড জয় করে মেরিনার্সরা। বলাবাহুল্য, এই সিজনের শুরুটা দিমিত্রি পেত্রাতোসের জন্য খুব একটা ইতিবাচক না থাকলেও আইএসএলের শেষ লগ্নে এসে দুরন্ত ছন্দে ধরা দিয়েছেন তিনি। সেই নিয়ে যথেষ্ট খুশি সকলেই।

পাশাপাশি দলকে দ্বিতীয়বার শিল্ড জয়ী করতে পারে খুশি বাগান অধিনায়ক শুভাশিস বসু। ম্যাচ শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, “মোহনবাগান ট্রফি জেতার জন্য খেলে। মরসুমের শুরু থেকেই ম্যানেজমেন্টের যে মেন্টালিটি সেটা এক কথায় অনবদ্য। ম্যানেজমেন্ট আমাদের বোঝায় যে ট্রফি জিততে হবে। তাছাড়া মোহনবাগানে যে সমস্ত খেলোয়াড়রা আসে তাঁরা ট্রফি জেতার মানসিকতা নিয়েই আসে। এখনও পর্যন্ত আমরা প্রায় ১৯০ দিন ট্রেনিং করেছি‌। এবং মাঠে কঠোর পরিশ্রম করেছি। যার ফল আজ আমরা পেয়েছি। আমাদের পরবর্তী টার্গেট থাকবে আইএসএল ট্রফি জেতা। আজকে আমরা আনন্দ করবো। তারপর আবার আমরা পরবর্তী ম্যাচের জন্য নিজেদের প্রস্তুত করবো।”