কলিঙ্গের বুকে ও জয়ের ছন্দ বজায় রাখল মোহনবাগান (Mohun Bagan) সুপার জায়ান্ট। টুর্নামেন্টের প্রথম দল হিসেবে আগেই বাই পেয়ে প্রি-কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে কোয়ার্টার ফাইনালে চলে গিয়েছিল কলকাতা ময়দানের এই প্রধান। যেখানে তাঁদের প্রতিপক্ষ ছিল দক্ষিণের শক্তিশালী ফুটবল ক্লাব কেরালা ব্লাস্টার্স। নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী শনিবার বিকেলে এই ম্যাচ খেলতে নেমেছিল দুই দল। সম্পূর্ণ সময়ের শেষে ২-১ গোলের ব্যবধানে এই ম্যাচে জয় ছিনিয়ে নিল সবুজ-মেরুন ব্রিগেড। দলের হয়ে গোল করেন যথাক্রমে সাহাল আব্দুল সামাদ এবং সুহেল আহমেদ ভাট। অন্যদিকে কেরালা ব্লাস্টার্সের হয়ে ব্যবধান কমান শ্রীকুত্তনম।
বলাবাহুল্য, এদিন ম্যাচের শুরু থেকেই যথেষ্ট চনমনে মেজাজে দেখা গিয়েছিল বাগান ফুটবলারদের। নোয়া সাদাউ থেকে শুরু করে ডুসান ল্যাগেটরের মতো হাইপ্রোফাইল ফুটবলাররা প্রতিপক্ষ দলে থাকলেও খুব একটা সক্রিয়তা দেখানো সম্ভব হয়ে ওঠেনি তাঁদের পক্ষে। যারফলে গোলের মুখ খুলতে ও খুব একটা সমস্যা হয়নি তাঁদের পক্ষে। প্রথমার্ধের দ্বিতীয় কোয়ার্টারের মাঝামাঝি সময় সালাউদ্দিন আদনানের পাস থেকে গোল করে দলকে এগিয়ে দিয়ে যান সাহাল। প্রচন্ড চেষ্টা করে ও গোল আটকাতে পারেননি কেরালা গোলরক্ষক। এই গোলের পর থেকেই যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী হয়ে ওঠে বাগান শিবির।
তারপর ও প্রথমার্ধ জুড়ে বেশকিছু গোলের সুযোগ তৈরি হলেও সেগুলি কাজে লাগাতে পারেননি বাস্তব রায়ের ছেলেরা। নাহলে অনায়াসেই আরও বাড়তে পারত গোলের ব্যবধান। প্রথমার্ধের শেষে ১-০ গোলের ব্যবধানে এগিয়ে থাকার পর দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই আরও চাপ বাড়াতে শুরু করেন আশিক কুরুনিয়ান থেকে শুরু করে দীপক টাংড়ির মতো ফুটবলাররা। তারপর ৫১ মিনিটের মাথায় কেরালা ব্লাস্টার্সের রক্ষণভাগে হানা দিয়ে গোলের ব্যবধান বাড়িয়ে দিয়ে যান দলের তরুণ তারকা সুহেল ভাট। সেই সুবাদে ২-০ গোলে এগিয়ে যায় কলকাতা ময়দানের এই প্রধান।
তবে ম্যাচের পঞ্চম কোয়ার্টার থেকেই ক্রমশ চাপ বাড়িয়ে গোল তুলে নিতে তৎপর হয়ে উঠেছিল ডেভিড কাতলার কেরালা ব্লাস্টার্স। সেইমতো বেশকিছু সহজ সুযোগ ও এসে গিয়েছিল তাঁদের ফুটবলারদের কাছে। কিন্তু গোল করতে ব্যর্থ থাকেন জেসুস জেমিনেজ থেকে শুরু করে কোয়ামি পেপরাদের মতো ফুটবলাররা। বাগানের জমাটবাঁধানো রক্ষণের সামনে তাঁদের আটকে যেতে হয় বারংবার। বিশেষ করে আমন দ্বীপের গোল লাইন সেভের ফলে আত্মবিশ্বাস তলানিতে গিয়ে ঠেকে কেরালা দলের ফুটবলারদের। শেষ পর্যন্ত ম্যাচের অতিরিক্ত ছয় মিনিটের মধ্যে ৯৪ মিনিটের মাথায় ব্যবধান কমানো সম্ভব হলেও সেটা ম্যাচে ফিরে আসার জন্য যথেষ্ট ছিল না দক্ষিণের এই ফুটবল দলের।