গত মঙ্গলবার থেকে এএফসির অভিযান শুরু করেছে মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট। যেখানে তাঁদের প্রতিপক্ষ হিসেবে ছিল তুর্কমেনিস্তানের ফুটবল দল আহাল এফকে। ঘরের মাঠে ম্যাচ থাকায় প্রথম থেকেই যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী ছিল সবুজ-মেরুন ফুটবলাররা। তাই প্রথম থেকেই যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী থাকতে দেখা গিয়েছিল দলের ফুটবলারদের। প্রথম কোয়ার্টার থেকেই প্রতিপক্ষ দলকে ভালোমতো নজরে রাখছিলেন জেসন কামিন্সরা। তারপর সময় যত এগোয় ততই নিজেদের চেনা ছন্দে ফিরতে শুরু করেছিল মোহনবাগান। কিন্তু ঘন ঘন আক্রমণ করেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি।
গোলের একাধিক সহজ সুযোগ পেয়েছিল জেসন কামিন্স থেকে শুরু করে জেমি ম্যাকলারেনের মতো ফুটবলাররা। এমনকি আচমকা শট নিয়ে প্রতিপক্ষ ফুটবলারদের উপর চাপ সৃষ্টি করতেও বাদ রাখেননি ভারতীয় তারকা লিস্টন কোলাসো থেকে শুরু করে সাহাল আব্দুল সামাদের মতো ফুটবলাররা। কিন্তু তবুও বল গোলে রাখা সম্ভব হয়নি। অমীমাংসিত প্রথমার্ধের পর দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেও গোলের মুখ খুলতে তৎপর ছিল দুই শিবির। তবে এক্ষেত্রে যথেষ্ট বেগ পেতে হয়েছিল তুর্কমেনিস্তানের ক্লাবকে। শেষ পর্যন্ত অন্তিম কোয়ার্টারের মাঝামাঝি সময় দলের হয়ে জয়সূচক গোল করে যান এনওয়ার আনানিউ। তারপর আর ম্যাচে ফিরতে পারেনি সবুজ-মেরুন।
আচমকা একটা গোল একেবারে বদলে দেয় সমস্ত কিছু। ঘরের মাঠে এই পরাজয় কিছুতেই মেনে নেওয়া সম্ভব নয় সমর্থকদের কাছে। এই হতাশা কাটিয়ে এবার ঘুরে দাঁড়ানোর লক্ষ্য সকলের। সেই নিয়ে পরিকল্পনা নিয়েই আগামী ৩০শে সেপ্টেম্বর এএফসি চ্যাম্পিয়নস লিগ টায়ার টুয়ের দ্বিতীয় ম্যাচ খেলতে নামবে সবুজ-মেরুন ব্রিগেড। যেখানে তাঁদের প্রতিপক্ষ হিসেবে রয়েছে সেপাহন এফসি। ইরানের এই ফুটবল দল খাতায় কলমে মোলিনার ছেলেদের তুলনায় যে অনেকটাই এগিয়ে সেটা নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না। তবুও নিজেদের সেরাটা উজাড় করে দিতে চাইবেন বাগান ফুটবলাররা।
পুরনো হতাশা কাটিয়ে নিজের লক্ষ্যে অবিচল থাকতে চান স্প্যানিশ তারকা আলবার্তো রদ্রিগেজ (Alberto Rodriguez)। নেটমাধ্যমে গত ম্যাচের বেশকিছু ছবি আপলোড করে তিনি লেখেন, “যখন কিছু তোমার ইচ্ছামত না যায়, তখন কাজ করে যাও, এটাই জীবনের মূল কথা।” অর্থাৎ নিজেদের সুদিন ফেরাতে বদ্ধপরিকর এই তারকা।