ঠিক যেখানে শেষ করেছিল ঠিক সেখান থেকেই শুরু করল মোহনবাগান (Mohun Bagan) সুপার জায়ান্ট। এক্ষেত্রে বজায় থাকল জয়ের ছন্দ। গত মরসুমে ঐতিহ্যবাহী ডুরান্ড কাপ জয় করা সম্ভব না হলেও পরবর্তীতে ইন্ডিয়ান সুপার লিগের অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠেছিল সবুজ-মেরুন। শিল্ডের পাশাপাশি খুব সহজেই লিগ কাপ জয় করেছিল ময়দানের এই প্রধান। এবার অতীত পিছনে ফেলে নতুন সিজনে ডুরান্ড কাপ ঘরে ফিরিয়েই সিজন শুরু করতে চাইছে মোহনবাগান। অন্তত এমনটাই ইঙ্গিত মিলল বাগান সভাপতির কথায়। গত বৃহস্পতিবার টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচে মহামেডানের সাথে খেলতে নেমেছিল বাগান ব্রিগেড।
হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পর শেষ পর্যন্ত দুইটি গোলের ব্যবধানে ডার্বি জয় করে দশজনে খেলা মোহনবাগান। এক কথায় যা বিরাট পাওনা। প্রত্যেক ক্ষেত্রেই ডার্বি ম্যাচ বাড়তি উন্মাদনার সৃষ্টি করে। প্রতিপক্ষ ইস্টবেঙ্গল হোক কিংবা মহামেডান। এই ম্যাচে জয় আসলে আত্মবিশ্বাসের তুঙ্গে উঠে যায় ফুটবলাররা। সেই আত্মবিশ্বাস নিয়েই এবারের এই শতাব্দী প্রাচীন টুর্নামেন্টের অভিযান শুরু করেছে মেরিনার্সরা। এদিনের দলের পারফরম্যান্স নিয়ে যথেষ্ট খুশি সমর্থক থেকে শুরু করে বাগান কর্তারা। সচিব সৃঞ্জয় বসুর পাশাপাশি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে টুর্নামেন্ট নিয়ে যথেষ্ট আশাবাদী থাকতে দেখা যায় বাগান সভাপতিকে।

দেবাশিস দত্ত বলেন, ” ক্লাবটার নাম মোহনবাগান। মোহনবাগান যখনই খেলে জেতার জন্য খেলে। ডুরান্ড কতৃপক্ষ এই নিয়ে অনেক কিছু বলেছিল, যে আপনারা প্রথম একাদশ খেলাচ্ছেন না সেকেন্ড একাদশ খেলাচ্ছেন। তবে মোহনবাগান খেলে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্য রানার্স হওয়ার জন্য নয়। এবারও খেলতে নেমেছে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্য। সেটা দেখিয়ে দিয়েছে। তবে টিম তৈরি হতে সময় লাগবে।” সেইসাথে আপুইয়া প্রসঙ্গে জানান, ” এটি নিঃসন্দেহে খুশি দুঃখজনক। ওর ওইভাবে আচরণ করাটা উচিত হয়নি। পেশাদার ফুটবলে এসব আশা করা যায়না। তবে ওর বয়স কম। ধীরে ধীরে ম্যাচিউরিটি বাড়বে। এটার থেকে ও বেড়িয়ে আসতে পারবে।”
উল্লেখ্য, ম্যাচের প্রথমার্ধের শেষের দিকে প্রতিপক্ষ ফুটবলারদের সঙ্গে বিবাদে জড়িয়ে গিয়েছিলেন জাতীয় দলের এই ফুটবলার। এমন পরিস্থিতিতে লাল কার্ড দেখাতে বাধ্য হয়েছিলেন ম্যাচ রেফারি। যারফলে আগামী ম্যাচে তাঁকে মাঠে পাবেন না বাগান কোচ।