বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে বেটিংয়ের কালো ছায়ার প্রভাব বারংবার দেখা গিয়েছে ভারতীয় ক্রীড়ামহলে। বিশেষ করে যার প্রভাব দেখা দিয়েছে ভারতীয় ফুটবলের ক্ষেত্রে। বিশেষ করে দেশের দুই প্রধান তথা ইমামি ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগান ( Mohan Bagan) সুপারজায়ান্টস এর মতো দলগুলিও হয়েছে এর শিকার।
উল্লেখ্য, গত বেশকয়েক মরশুম ধরেই দুই প্রধানের মূল ইনভেস্টরের সঙ্গেই রয়েছে এদের বিবিধ সংস্থা গুলি। তাদের মধ্যেই একটি হল মোহনবাগানের “পারি ম্যাচ” (parimatch) যেটির নাম দেখা যায় খোদ মোহনবাগানের জার্সিতে। যেটি মূলত সাইপ্রাসের একটি বেটিং সংস্থা। বলা যায় “পারিবেটসের একটি শাখা।”
এবার এদের বিরুদ্ধেই উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। যেটি সামনে এনেছে মুম্বাইয়ের সার্ভিসেস ট্যাক্স ইন্টিলিজেন্সের একটি শাখা। সেই অনুসারে ভারত থেকে নাকি মোট ৭০০ কোটি টাকা মূলত ক্রিপ্টোকারেন্সি রূপে নাকি বিদেশে পাচার করছিল তারা। এক্ষেত্রে নাকি একাধিক কানেকশন রয়েছে খোঁদ কলকাতার বুকে। এক্ষেত্রে নাকি বিদেশ থেকে অপারেট করা একাধিক সংস্থা কে চিহ্নিত করা হয়েছে তাদের তরফে।
গত কয়েকমাস আগে কেন্দ্রীয় তথ্য সম্প্রচার মন্ত্রকের তরফ থেকে বিশেষ বিবৃতি দিয়ে দেশের সমস্ত সংবাদ মাধ্যম গুলিকে এই সমস্ত সংস্থার বিজ্ঞাপন নেওয়া থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দেওয়া হলেও ক্রীড়া মহলের ক্ষেত্রে দেখা দিয়েছে যত সমস্যা। মূলত বিরাট অঙ্কের অর্থের কথা মাথায় রেখে সেদিক থেকে মুখ ফেরানো সম্ভব হচ্ছে না ময়দানের ক্লাব গুলির।