সন্তোষ জয়ী এই তারকাকে দলে সই করাল মহামেডান

দুরন্ত পারফরম্যান্সের মধ্য দিয়ে ইন্ডিয়ান লিগ শুরু করেছিল মহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব (Mohammedan SC)। অনায়াসেই তাঁরা আটকে দিয়েছিল এফসি গোয়া থেকে শুরু করে চেন্নাইয়িন এফসির মতো…

Mohammedan SC Signs Santosh Trophy Winner Jewel Ahmed Majumdar

দুরন্ত পারফরম্যান্সের মধ্য দিয়ে ইন্ডিয়ান লিগ শুরু করেছিল মহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব (Mohammedan SC)। অনায়াসেই তাঁরা আটকে দিয়েছিল এফসি গোয়া থেকে শুরু করে চেন্নাইয়িন এফসির মতো দলকে। যা নিঃসন্দেহে খুশি করেছিল সাদা-কালো সমর্থকদের। কিন্তু পরবর্তীতে ম্যাচ এগোনোর সাথে সাথেই ছন্দপতন হতে থাকে ব্ল্যাক প্যান্থার্সদের। তারপর থেকে এখনও পর্যন্ত জয়ের সরণিতে ফিরতে পারেনি ময়দানের এই প্রধান। যারফলে বর্তমানে পয়েন্ট টেবিলের তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে মহামেডান দল। তবে এই নতুন বছরে সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়ানোই প্রধান চ্যালেঞ্জ এই তৃতীয় প্রধানের।

এক্ষেত্রে উইন্টার ট্রান্সফার উইন্ডোকে কাজে লাগিয়ে দলের মধ্যে একাধিক বদল আনতে মরিয়া ম্যানেজমেন্ট। সেইমতো গত কয়েকদিন ধরেই একাধিক বিদেশি ফুটবলারদের দিকে নজর রয়েছে মহামেডানের। সেক্ষেত্রে বাকিদের তুলনায় অনেকটাই এগিয়ে রয়েছেন এক অস্ট্রিয়ান ফুটবলার। তবে শুধুমাত্র বিদেশি ফুটবলার নয়। নিজেদের দলকে শক্তিশালী করতে একাধিক দেশিও প্রতিভার দিকে ও নজর ছিল রেড রোডের এই ফুটবল ক্লাবের। বিশেষ করে এবারের সন্তোষ ট্রফি জয়ী বেশ কয়েকজন ফুটবলারদের দলে নেওয়ার ক্ষেত্রে ও অনেকটা এগিয়ে ছিল আন্দ্রে চেরনিশভের মহামেডান।

   

সেইমতো গত কয়েকদিন আগেই রবি হাঁসদাকে দলে টেনেছে সাদা-কালো শিবির। ছয় মাসের জন্য কলকাতা কাস্টমস থেকে লোন ডিলে তাঁকে সই করিয়েছে আইএসএলের এই ফুটবল ক্লাব। যা নিঃসন্দেহে বড়সড় চমক ছিল সকলের কাছে। একটা সময় তাঁকে নেওয়ার ক্ষেত্রে ময়দানের তিন প্রধান এগিয়ে থাকলেও শেষ পর্যন্ত বাজিমাত করে মহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। এবার ও দেখা গেল সেই চমক। চলতি ফুটবল মরসুমের জন্য এবার জুয়েল আহমেদ মজুমদারকে দলে টানল সাদা-কালো ব্রিগেড। সেই নিয়ে যথেষ্ট খুশি সমর্থকরা।

 

 
 
 
 
 
View this post on Instagram
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 

 

A post shared by Mohammedan Sporting Club (@mohammedansc_official)

আগামী শনিবার বিকেলে কান্তিরাভা স্টেডিয়ামে শক্তিশালী বেঙ্গালুরু এফসির বিপক্ষে খেলতে নামবে মহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। গত দুই ম্যাচের মতো এবারও নিজেদের সেরাটা দিতে মরিয়া অ্যালেক্সিস গোমেজরা। তবে এক্ষেত্রে বাড়তি দায়িত্ব নিতে হবে দলের রক্ষণভাগকে।