অপ্রীতিকর পরিস্থিতির জের, আর্থিক জরিমানার মুখে মহামেডান

সূচি অনুযায়ী গত রবিবার সন্ধ্যায় আইএসএলের পঞ্চম ম্যাচ খেলতে নেমেছিল মহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব (Mohammedan SC)। যেখানে তাঁদের প্রতিপক্ষ ছিল কেরালা ব্লাস্টার্স ফুটবল ক্লাব। ম্যাচের প্রথম…

সূচি অনুযায়ী গত রবিবার সন্ধ্যায় আইএসএলের পঞ্চম ম্যাচ খেলতে নেমেছিল মহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব (Mohammedan SC)। যেখানে তাঁদের প্রতিপক্ষ ছিল কেরালা ব্লাস্টার্স ফুটবল ক্লাব। ম্যাচের প্রথম দিকে মিরজালল কাসিমভের করা গোলে এগিয়ে গিয়েছিল সাদা-কালো ব্রিগেড। কিন্তু সেটা বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। পরবর্তীতে সময় যত এগিয়েছিল ততই ভয়ানক হয়ে উঠতে শুরু করেছিল নোয়া সাদাউ থেকে শুরু করে জেসুস জেমিনেজরা। যারফলে অনায়াসেই ম্যাচে ফিরে এসেছিল মিকেল স্ট্যাহরের ছেলেরা। তারপর পিছিয়ে থেকেও জয় নিশ্চিত করে কেরালা।

কিন্তু সেদিন ম্যাচের বয়স বাড়ার সাথে সাথেই উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল গোটা কিশোর ভারতী স্টেডিয়াম। কেরালা ব্লাস্টার্স ম্যাচে প্রভাব বিস্তার শুরু করতেই জলের বোতল উড়ে আসতে থাকে প্রতিপক্ষ গ্যালারির দিকে। তারপর সময় এগোনোর সাথে সাথেই বোতল ছোড়া ছুড়ি শুরু হয়ে যায় দুই দলের সমর্থকদের মধ্যে। এমনকি ম্যাচ চলাকালীন মাঠের মধ্যে ও উড়ে আসতে থাকে জলের বোতল এবং ইঁটের টুকরো। যারফলে বেশ কিছুক্ষণ বন্ধ হয়ে যায় সেই ম্যাচ। পরিস্থিতি এতটাই খারাপ হয়ে যায় যে একটা সময় ম্যাচ শুরু করতে গ্যালারির দিকে এগিয়ে যেতে হয় দুই দলের ফুটবলারদের।

   

এমনকি সমর্থকদের কাছে হাত জোড় করে শান্ত হওয়ার ও আবেদন জানাতে দেখা যায় কেরালার বাঙালি ডিফেন্ডার প্রীতম কোটালকে। শেষ পর্যন্ত এক গোলের ব্যবধানে জয় সুনিশ্চিত করে মিকেল স্ট্যাহরের ছেলেরা। কিন্তু অ্যাওয়ে ম্যাচ খেলতে এসে এই অপ্রীতিকর পরিস্থিতি একেবারেই ভালোভাবে নেয়নি কেরালা ম্যানেজমেন্ট। সেদিন রাত্রেই তাঁদের তরফে জারি করা হয়েছিল বিশেষ বিবৃতি। যেখানে দক্ষিণের এই ফুটবল ক্লাবের সমর্থকদের নিরাপত্তার কথা বিশেষ ভাবে উল্লেখ করা হয়। সেজন্য গোটা বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে ও জানানো হয়।

সেই নিয়েই এবার উঠে আসলো নয়া তথ্য। বিশেষ সূত্র মারফত খবর মহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের সমর্থকদের এমন আচরণ খুব একটা ভালোভাবে নেয়নি কর্তৃপক্ষ। যারফলে খুব শীঘ্রই আর্থিক জরিমানার সম্মুখীন হতে পারে ময়দানের এই প্রধান। যদিও সেটি এখনও পর্যন্ত চূড়ান্ত নয়। এই গোটা বিষয়টি নিয়ে মহামেডানের কাছে প্রতিক্রিয়া জানতে চেয়েছে এআইএফএফ। সেইমতো বেশ কয়েকদিন সময় ও দেওয়া হয়েছে তাঁদের তরফে। এরপর গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাবে কর্তৃপক্ষ।