চোখ ধাঁধানো পারফরম্যান্সের মধ্য দিয়ে আইএসএল শুরু করেছিল মহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব (Mohammedan SC)। প্রথম ম্যাচে জয় না আসলেও খেলোয়াড়দের সক্রিয়তা যথেষ্ট প্রশংসা কুড়িয়েছিল সকলের। তারপর সেই ধারা বজায় রেখেই শক্তিশালী এফসি গোয়াকে আটকে দেওয়ার পাশাপাশি চেন্নাইয়িন এফসির বিপক্ষে জয়। নতুন করে স্বপ্ন দেখাতে শুরু করেছিল সমর্থকদের। কিন্তু বজায় থাকেনি সেই ধারা। সময় যত এগিয়েছে ততই পিছিয়ে পড়তে শুরু করে কলকাতা ময়দানের এই তৃতীয় প্রধান। যার প্রভাব পড়ে পয়েন্ট টেবিলে। তাছাড়া ও পড়শী ক্লাব মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের কাছে টানা দুইটি লেগে পরাজয় যথেষ্ট হতাশ করেছিল সকলকে।
যারফলে টুর্নামেন্টের সুপার সিক্সে যাওয়ার আশা অনেক আগেই শেষ হয়ে ব্ল্যাক প্যান্থার্সদের। এবার বাকি ম্যাচ গুলিতে ভালো পারফরম্যান্স করে বর্তমানের তুলনায় পয়েন্ট টেবিলের কিছুটা উপরে গিয়ে শেষ করাই এখন অন্যতম লক্ষ্য সাদা-কালো ফুটবলারদের। সেই অনুযায়ী গত শনিবার আইএসএলের ম্যাচে সামিল চেম্বাকাথের হায়দরাবাদ এফসির বিরুদ্ধে খেলতে নেমেছিল মহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। সম্পূর্ণ সময়ের শেষে তিন গোলের ব্যবধানে সেই ম্যাচে পরাজিত হয় গতবারের আইলিগ জয়ীরা। মাকান চোটে ব্যবধান কমাতে সক্ষম হলেও ম্যাচে ফেরা সম্ভব হয়নি।
সেই নিয়ে যথেষ্ট হতাশ সকলেই। এই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে পয়েন্টের নিরিখে দল চ্যাম্পিয়নশিপের দৌড়ে না থাকলেও ভালো ভাবে সিজন শেষ করতে বদ্ধপরিকর মহামেডান শিবির। ম্যাচ শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ঠিক এমনটাই জানান দলের অন্তর্বর্তীকালীন কোচ মেহরাজুদ্দিন ওয়াডু। তিনি বলেন, ” দ্বিতীয়ার্ধে আমাদের দল অনবদ্য লড়াই করেছে। একাধিকবার গোলের সুযোগ তৈরি করেছে, একটা গোলও করেছে। আরও একটা গোল হতে পারত। কিন্তু সেটা সম্ভব হয়নি। এই সিজনে আমাদের বহুবার এমন পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে। আমরা গোল করার ক্ষেত্রে যথেষ্ট হতাশাজনক পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছি।”
আর ও বলেন, ” একেবারে তিনটি গোল হজম করা আমাদের পক্ষে যথেষ্ট চিন্তার। এক্ষেত্রে দলের রক্ষণভাগকে আরও অনেক শক্তিশালী করতে হবে। তবে দ্বিতীয়ার্ধে আমরা ভাল লড়াই করেছি। এই ম্যাচ থেকে অনেক ইতিবাচক দিক পাওয়া গেছে। আমাদের দেখতে হবে আমরা আজ আর কী কী ভুল করেছি। বিশেষ করে দেখতে হবে পরবর্তী ম্যাচগুলোতে কোথায় কোথায় উন্নতি করার প্রয়োজন রয়েছে।” এছাড়াও পরবর্তী ম্যাচ গুলির প্রসঙ্গে তিনি জানান, ” আমি ব্যক্তিগতভাবে চাই না যে আমরা এই সিজনের শেষে পয়েন্ট টেবলে একেবারে তলানিতে থাকি। যখন দল টেবিলের একেবারে নীচে থাকে তখন খেলোয়াড়দের আত্মবিশ্বাস কমতে থাকে। এখন তাঁদের মনোবল বাড়াতে হবে।”