চলতি ডুরান্ড কাপে (Durand Cup) নিজেদের শেষ ম্যাচ খেলতে মাঠে নামছে মহামেডান স্পোর্টিং (Mohammedan SC)। এদিন গ্রুপ বি’র নিয়মরক্ষার লড়াইয়ে তাদের প্রতিপক্ষ বিএসএফ ফুটবল দল (BSF FT)। উভয় দলই ইতিমধ্যেই নকআউট পর্বে পৌঁছনোর দৌড় থেকে ছিটকে পড়েছে। তবে সম্মান রক্ষার ম্যাচে জয়ের লক্ষ্যে মাঠে নামতে চায় কলকাতার ঐতিহ্যবাহী ক্লাব।
দুই ম্যাচে টানা জয়ের পর ছয় পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ ‘বি’ শীর্ষে রয়েছে ডায়মন্ড হারবার এফসি। সমসংখ্যক পয়েন্ট পেলেও, গোল পার্থক্যে পিছিয়ে দ্বিতীয় স্থানে মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট। মহামেডান ও বিএসএফ উভয়েই এখনও পর্যন্ত একটিও ম্যাচ জিততে পারেনি। ফলে শেষ ম্যাচে শুধুই আত্মসম্মান ও সমর্থকদের মুখে হাসি ফোটানোর চ্যালেঞ্জ রইল দুই দলের সামনে।
২০১৩ সালের ডুরান্ড কাপজয়ী মহামেডান স্পোর্টিং এবছর মূলত রিজার্ভ দল নিয়েই টুর্নামেন্টে অংশ নিয়েছে। অভিজ্ঞতার ঘাটতি স্পষ্ট ফুটে উঠেছে খেলার ফলাফলে। ডায়মন্ড হারবারের বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচে ১-০ গোলে এগিয়ে গিয়েও শেষ পর্যন্ত ১-২ ব্যবধানে হার মানতে হয়। পরবর্তী ম্যাচে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী মোহনবাগানের বিরুদ্ধে আত্মবিশ্বাসী শুরু করলেও ১-৩ গোলে পরাজিত হতে হয়, যদিও প্রতিপক্ষ দ্বিতীয়ার্ধে দশ জনে নেমে গিয়েছিল।
তবে এই যুবপ্রধান দলে কিছু উজ্জ্বল পারফরম্যান্সও নজর কেড়েছে। বিশেষ করে অ্যাশলে অ্যালবান কোলি ও অধিনায়ক দিনেশ মেইতেই মাঝমাঠ ও আক্রমণে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। তবে বৃহস্পতিবারের ম্যাচে তাদের কেউই মাঠে থাকবেন না। অ্যাশলে চোটের কারণে এবং দিনেশ জোড়া হলুদ কার্ডের ফাঁদে পড়ে নিষিদ্ধ হয়েছেন।
ম্যাচের আগের দিন সাদা-কালো শিবিরে কোচ মেহরাজউদ্দিন বলেন, “আমরা জানি আমাদের নকআউটে যাওয়ার সম্ভাবনা নেই, কিন্তু শেষ ম্যাচটা জিতেই এই অভিযান শেষ করতে চাই। ছেলেরা মোটিভেটেড, সবাই প্রস্তুত।” চোট-আঘাতের প্রসঙ্গে তিনি জানান, “হ্যাঁ, কিছু ইনজুরি সমস্যা রয়েছে। অ্যাশলে ও এডিসন অনুশীলন করেনি। কাল সকালে দেখা যাবে তাদের অবস্থা।” অধিনায়ক দিনেশের অনুপস্থিতিতে কে নেতৃত্বে আসবেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, “সম্ভবত সাজ্জাদ কাল শুরু করবে।”
বিএসএফ ফুটবল টিমও এবারের ডুরান্ড কাপে চরম হতাশাজনক পারফরম্যান্স করেছে। ডায়মন্ড হারবারের কাছে ১-৮ এবং মোহনবাগানের বিরুদ্ধে ০-৪ ব্যবধানে বিশাল ব্যবধানে হারের মুখে পড়েছে তারা। প্রতিপক্ষের চাপে ভেঙে পড়া, রক্ষণভাগে ভুলে ঘুরে দাঁড়াতে না পারা তাদের বড় দুর্বলতা। তবে এই ম্যাচে বিএসএফও চায় সম্মান রক্ষা করতে। ফলে দুই দলেরই লক্ষ্য এক, জয় দিয়ে অভিযান শেষ করা।