ইডেন গার্ডেন্সে (Eden Gardens) ভারতের (India) বিরুদ্ধে ইংল্যান্ডের (England) প্রথম টি-টোয়েন্টি (T20 Seris) ম্যাচে মহম্মদ শামি (Mohammed Shami) খেলা না হওয়া নিয়ে ক্রিকেটমহলে জল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছে। এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা চলছে এবং সবার মনে প্রশ্ন উঠছে যে পরবর্তী ম্যাচে কি শামি খেলবেন? নাকি আবারও তারকা পেসারের জায়গা থাকবে বেঞ্চেই?
প্রিয় ক্লাবের হয়ে খেলা ভারতীয় বিশ্ব ফুটবলে দ্রুত গতির ফুটবলারের তালিকায়
ভারতের পেস আক্রমণের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হিসেবে পরিচিত মহম্মদ শামি। বিশেষ করে, ২০২৩ একদিনের বিশ্বকাপে তাঁর অবদান ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু দীর্ঘ সময় পরে জাতীয় দলে ফিরেও শামি কেন প্রথম ম্যাচে খেলা পাননি, তা নিয়ে নানা মত রয়েছে। সূত্রের খবর, শামি কিন্তু সম্পূর্ণ ফিট ছিলেন না। তাঁর হাঁটুতে সামান্য ব্যথা ছিল, যার কারণে তাকে প্রথম ম্যাচে দলে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। তবে, অনুশীলনে শামিকে যথেষ্ট গতিতে বোলিং করতে দেখা গিয়েছে, যা থেকে অনুমান করা হচ্ছে, তার ফিটনেস নিয়ে কোনও বড় সমস্যা নেই।
তবে ইডেনে শামি না খেললেও ভারতীয় দলের কাছে একটি অন্য ধরনের দুশ্চিন্তা ছিল। এই ম্যাচে ভারতের স্পিন বিভাগের সদস্য রবি বিষ্ণোই ছিলেন। কিন্তু তিনি কোনো উইকেট নিতে পারেননি। অন্যদিকে, হার্দিক পাণ্ডিয়া, যাকে দ্বিতীয় পেসার হিসেবে দলে রাখা হয়েছিল। ৪ ওভারে ৪২ রান দিয়েছেন। এই পারফরম্যান্স ভারতের টিম ম্যানেজমেন্টের জন্য চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়ায়। তাই, পরবর্তী ম্যাচে পরিবর্তনের সম্ভাবনা রয়েছে এবং শামির সুযোগ পাওয়ার সম্ভাবনা আরও বাড়ে।
বিদেশি তারকার সঙ্গে চুক্তি বাড়ানোর পরিকল্পনা মুম্বই
চেন্নাইয়ের পিচের পরিস্থিতি কিছুটা আলাদা। কারণ এটি সাধারণত স্পিন সহায়ক হয়ে থাকে। তবে, তবুও ভারতের টিম ম্যানেজমেন্ট যদি গতি এবং কৌশলের ক্ষেত্রে কিছু পরিবর্তন আনে, তাহলে শামিকে সুযোগ দেওয়া হতে পারে। চেন্নাইতে একটি টিম কম্বিনেশন পরিবর্তন করতে পারে ভারত এবং শামির জন্য সুযোগ তৈরি হতে পারে। শামি তার গতির জন্য পরিচিত এবং চেন্নাইয়ের উইকেটে পেস বোলারদের ভাল কাজ করতে দেখা যায়, যদিও সেখানে ঘূর্ণি বোলারদেরও কার্যকরী ভূমিকা থাকে।
ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে এই সিরিজটি শামির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সুযোগ হতে পারে। কারণ বিশ্বকাপ ২০২৩-এর সেমিফাইনাল পর থেকে তিনি আর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেননি। এই সিরিজটি তার জন্য চ্যালেঞ্জিং হলেও, এটি তাকে আন্তর্জাতিক ম্যাচের প্রস্তুতি নিতে সাহায্য করবে। শামি যদি পরবর্তী ম্যাচে খেলার সুযোগ পান, তবে তিনি নিজেকে প্রমাণ করার জন্য যথাসম্ভব প্রস্তুত থাকবেন।
নিজামদের পাঁচ ম্যাচে জয় অধরা, দ্বিতীয় লক্ষ্য খালিদের
ভারতের টিম ম্যানেজমেন্টও সম্ভবত এই পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে দল নির্বাচন করবে। শামি যদি পুরোপুরি সুস্থ হন এবং তার ইনজুরির সমস্যা না থাকে, তাহলে তাকে প্রথম একাদশে অন্তর্ভুক্ত করার সম্ভাবনা রয়েছে। শামি যে দ্রুত গতির বোলিং করতে সক্ষম, তাও ভারতের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে।
বেঙ্গালুরুর বধ করে কী বললেন লোবেরা? জানুন
ভারতের পেস আক্রমণ শক্তিশালী করার জন্য শামি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারেন। এছাড়া, শামির অভিজ্ঞতা এবং গতির কারণে, তার উপস্থিতি ইংল্যান্ডের শক্তিশালী ব্যাটিং লাইনআপের বিরুদ্ধে কাজে লাগতে পারে। বিশেষ করে, ভারতের দলের বর্তমান পরিস্থিতি যেখানে বোলিং বিভাগে কিছুটা পরিবর্তনের প্রয়োজন অনুভূত হচ্ছে। সেখানে শামির ফিরে আসা ভারতের জন্য বড় শক্তির প্রতীক হতে পারে।
গোকুলামের বিপক্ষে ‘ডু অর ডাই’ হাবাসের ইন্টার কাশীর কেন?
অবশেষে, দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচের আগে ভারতের টিম ম্যানেজমেন্ট যে সিদ্ধান্ত নেবে। তা খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্সের ওপর নির্ভর করবে। শামি যদি পুরোপুরি ফিট হন, তাহলে চেন্নাইয়ে তার খেলার সুযোগ পাওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। তবে, সব কিছু নির্ভর করছে তার ফিটনেস এবং প্রস্তুতির উপর।