গ্ৰীষ্মকালীন ট্রান্সফার উইন্ডো খোলার পর ঘর গোছাতে তৎপর ছিল অধিকাংশ ফুটবল ক্লাব। দেশীয় ফুটবলারদের পাশাপাশি একাধিক বিদেশি ফুটবলারদের দিকে ও নজর ছিল প্রত্যেকের। এক্ষেত্রে বাকিদের তুলনায় খুব একটা পিছিয়ে ছিল না ইস্টবেঙ্গল। সময় এগোনোর সাথে সাথেই দেশীয় ব্রিগেডের পাশাপাশি একাধিক বিদেশি ফুটবলারদের যোগদানের কথা ঘোষণা করেছিল ম্যানেজমেন্ট। তাঁদের নিয়েই এবারের এই ডুরান্ড কাপ শুরু করেছিল মশাল ব্রিগেড। সাউথ ইউনাইটেড এফসিকে পরাজিত করে ডুরান্ড কাপ শুরু করেছিল ইস্টবেঙ্গল।
চূড়ান্ত সাফল্য না আসলেও পরবর্তী টুর্নামেন্ট গুলিতে ভালো পারফরম্যান্স করতে বদ্ধপরিকর ময়দানের এই প্রধান। কিন্তু তাঁর আগেই গত কয়েক সপ্তাহে একাধিক ফুটবলারদের রিলিজ করার কথা জানিয়ে দিয়েছিল মশাল ব্রিগেড। সিনিয়র ফুটবলারদের মধ্যে গ্ৰীক ফরোয়ার্ড দিমিত্রিওস দিয়ামান্তাকোস থেকে শুরু করে জুনিয়র দলের একসাথে ছয় ফুটবলারকে রিলিজ করে দেওয়ার কথা জানিয়ে দিয়েছিল ম্যানেজমেন্ট। যাদের মধ্যে সুনীল বাথালা থেকে শুরু করে মুহম্মদ রোশল ভিপি, কৌস্তভ দত্ত, কুশ ছেত্রী এবং অবিনাশ শাগলসামের পাশাপাশি ছিল মোহাম্মদ আশিকের (Mohammad Ashik) নাম।
বিগত গত কয়েক মরসুম ধরেই লাল-হলুদের রিজার্ভ দলের হয়ে অনবদ্য ফুটবল খেলে আসছিলেন এই ছয় ফুটবলার। তাঁদের রিলিজ করার পরিকল্পনা কিছুটা হলেও অবাক করেছে সকলকে। এবার তাঁদের মধ্যেই লাল-হলুদের প্রাক্তন উইঙ্গার মোহাম্মদ আশিককে (Mohammad Ashik) দলে টেনে নিল সুপার লিগ কেরালার ফুটবল ক্লাব কালিকট এফসি। রবিবার রাতে নিজেদের সোশ্যাল সাইট থেকে তাঁর যোগদানের কথা ঘোষণা করে দিয়েছে দক্ষিণের এই শক্তিশালী ফুটবল ক্লাব। এবার এই নতুন দলের জার্সিতে নিজেকে কতটা মেলে ধরতে পারেন এখন সেটাই দেখার বিষয়।
একটা সময় মূথুট ফুটবল অ্যাকাডেমি থেকে পেশাদার ফুটবলে আত্মপ্রকাশ ঘটেছিল আশিকের। পরবর্তীতে যোগদান করেছিলেন ইস্টবেঙ্গল দলে। সেখানে গতবারের প্রিমিয়ার ডিভিশন লিগে অনবদ্য পারফরম্যান্স করার পাশাপাশি এবারেও যথেষ্ট নজর কেড়েছিলেন তিনি। এছাড়াও রিলায়েন্স কতৃক আয়োজিত ইয়ুথ ডেভেলপমেন্ট লিগে ও যথেষ্ট সক্রিয়তা ছিল এই ফুটবলারের। তাঁর উপস্থিতি নিঃসন্দেহে শক্তি বাড়বে দলের মধ্যে।