টিম ইন্ডিয়া অস্ট্রেলিয়ার (IND vs AUS) বিরুদ্ধে ওডিআই সিরিজে ১৩ জন খেলোয়াড়কে চেষ্টা করেছিল, কিন্তু তারা মাত্র ২টি হাফ সেঞ্চুরি করতে পারে। একটা সেঞ্চুরিও পাননি। যার কারণে অস্ট্রেলিয়াও তাকে ২-১ ব্যবধানে হারায় সিরিজে। ক্যাঙ্গারু দলের একমাত্র খেলোয়াড় ২টি হাফ সেঞ্চুরি করে টিম ইন্ডিয়াকে আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য করেন।
অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ওয়ানডে সিরিজে জয় দিয়ে শুরু করেছে টিম ইন্ডিয়া। এমন পরিস্থিতিতে রোহিত শর্মার নেতৃত্বাধীন দল টেস্টের পর ওয়ানডে সিরিজ জিতবে বলে আশা করা হচ্ছিল, কিন্তু ঘটেছে উল্টো। শেষ দুই ম্যাচ জিতে অস্ট্রেলিয়া ২-১ ব্যবধানে সিরিজ নিজেদের করে নেয়।
স্টিভ স্মিথের নেতৃত্বে চেন্নাইয়ে তৃতীয় ওয়ানডেতে ভারতীয় দলকে ২১ রানে হারিয়েছে দলটি। এর আগে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ১০ উইকেটের বড় জয় পায়। চেন্নাই ওয়ানডে সম্পর্কে কথা বললে, অস্ট্রেলিয়া প্রথম খেলে ২৬৯ রান করে। জবাবে ভারতীয় দল ২৪৮ রানে গুটিয়ে যায়। ওডিআই সিরিজে ভারতীয় দলকে একাই ছাপিয়েছিলেন মিচেল মার্শ।
অক্টোবর-নভেম্বরে ঘরের মাঠে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ওয়ানডে বিশ্বকাপের প্রস্তুতির জন্য অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজকে গুরুত্বপূর্ণ বিবেচনা করা হচ্ছিল। অধিনায়ক রোহিত শর্মা এবং কোচ রাহুল দ্রাবিড় মোট ১৩ জন খেলোয়াড়কে চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতা দলকে ডুবিয়ে দেয়।
ভারতীয় ব্যাটিংয়ের কথা বলি, সিনিয়র খেলোয়াড় রোহিত শর্মা ও বিরাট কোহলির ওপর বড় দায়িত্ব থাকলেও দুজনেই তেমন কিছু করতে পারেননি। রোহিত ২ ম্যাচে ২২ গড়ে ৪৩ রান করেছেন। যেখানে কোহলি একটি হাফ সেঞ্চুরির সাহায্যে ৩০ গড়ে ৮৯ রান করেন।
পুরো সিরিজে ভারতীয় ব্যাটসম্যান মাত্র ২টি হাফ সেঞ্চুরি করতে পারেন। কোহলি এবং কেএল রাহুল এটি করেছেন। আর শূন্যে ফিরেছেন ৬ বার। সূর্যকুমার ৩ তারপর মোহাম্মদ সিরাজ, শুভমান গিল ও মহম্মদ শামি একবার করে শূন্য রানে আউট হন। ভারতের বড় স্কোর ছিল ৭৫ রান। প্রথম ওয়ানডেতে কেএল রাহুল এই কাজটি করেছিলেন।
মাত্র একজন ভারতীয় ব্যাটসম্যানই সিরিজে ১০০ রানের বেশি পার করতে পারেন। কেএল রাহুল করেন ১১৬ রান। বিরাট কোহলি ৮৯ ও রবীন্দ্র জাদেজা ৭৯ রান করেন। অন্যদিকে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে মিচেল মার্শ ২টি হাফ সেঞ্চুরির সাহায্যে সর্বোচ্চ ১৯৪ রান করেন। ৮১ রান ছিল তার সেরা পারফরম্যান্স।