Kerala Blasters: মিলোসের আত্মঘাতী গোল, ছিটকে গেল কেরালা

ঘরের মাঠে জয় হাতছাড়া কেরালা ব্লাস্টার্সের (Kerala Blasters)। নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী রবিবার নিজেদের ঘরের মাঠে খালিদ জামিলের জামশেদপুর এফসির বিপক্ষে খেলতে নেমেছিল দক্ষিণের এই ফুটবল…

Milos Drincic

ঘরের মাঠে জয় হাতছাড়া কেরালা ব্লাস্টার্সের (Kerala Blasters)। নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী রবিবার নিজেদের ঘরের মাঠে খালিদ জামিলের জামশেদপুর এফসির বিপক্ষে খেলতে নেমেছিল দক্ষিণের এই ফুটবল ক্লাব। সম্পূর্ণ সময়ের শেষে ১-১ গোলের অমীমাংসিত ফলাফলে শেষ হয় এই ম্যাচ। হিসাব অনুযায়ী দেখলে সুপার সিক্সের লড়াইয়ে টিকে থাকতে হলে এই ম্যাচ যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ ছিল আদ্রিয়ান লুনাদের কাছে। সেইমতো প্রথম থেকেই যথেষ্ট আক্রমণাত্মক মেজাজে ধরা দিয়েছিল আইএসএলের এই ফুটবল ক্লাব। যারফলে গোল তুলে নিতে খুব একটা সমস্যা হয়নি কেরালা দলের।

ম্যাচের তৃতীয় কোয়ার্টারের মধ্যেই দলের হয়ে প্রথম গোল করে যান কোরো সিং। সতীর্থের বাড়ানো থ্রু ধরে প্রতিপক্ষের রক্ষণভাগে ঢুকে পড়েন এই ভারতীয় ফরোয়ার্ড। তারপর সেখান থেকেই দুরপাল্লার শট নিয়ে গোল করে যান কোরো। যা নিঃসন্দেহে আত্মবিশ্বাস বাড়িয়েছিল দলের সকল ফুটবলারদের। এমনকি প্রথমার্ধের শেষে সেই গোলের দরুন এগিয়ে ছিল দক্ষিণের এই ফুটবল ক্লাব। তবে দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই ম্যাচে ফিরতে মরিয়া হয়ে ওঠে জর্ডান মারি থেকে শুরু করে জাভি হার্নান্দেজরা। কিন্তু প্রতিপক্ষের জমাটবাঁধা ডিফেন্সে আটকে যেতে হয় বারংবার। যারফলে একটা সময় প্রায় জয় সুনিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল দক্ষিণের এই দলের।

kolkata24x7-sports-News

   

Also Read | মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে ২-২ করে ড্র বাগানের, চাপ বাড়ল ইস্টবেঙ্গলের 

কিন্তু শেষ মুহূর্তে দলের গোল দুর্গ অক্ষত রাখতে গিয়ে আত্মঘাতী গোল করে বসেন মিলোস ড্রিনসিচ। ম্যাচের ৮৬ মিনিটে সেই গোল হজম করার পর অতিরিক্ত সময় বেশ কয়েকবার আক্রমণে উঠে আসতে শুরু করেছিল কোয়ামি পেপরা সহ দলের অন্যান্য ফুটবলাররা। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। শেষ পর্যন্ত অমীমাংসিত ফলাফলে মাঠ ছাড়ে উভয় পক্ষ। খালিদ জামিলের জামশেদপুর এফসি আগেই সুপার সিক্স নিশ্চিত করলে ও এবার ছিটকে গেল নোয়া সাদাউরা।

বর্তমানে ২২ ম্যাচে ২৫ পয়েন্ট নিয়ে লিগ টেবিলের নবম স্থানে রয়েছে আইএসএলের এই ফুটবল ক্লাব। বাকি দুই ম্যাচে জিতলে সেক্ষেত্রে ৩২ পয়েন্ট পর্যন্ত পৌঁছতে পারবে এই দল। এখন ভালো পারফরম্যান্স করে আইএসএল শেষ করাই অন্যতম লক্ষ্য তাঁদের কাছে।