গত ফুটবল মরসুমে কলিঙ্গ সুপার কাপ চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ইমামি ইস্টবেঙ্গল ফুটবল ক্লাব। শুরুটা খুব একটা ভালো না হলেও সময়ের সাথে সাথেই দুরন্ত ছন্দে ধরা দিয়েছিল কলকাতা ময়দানের এই প্রধান। শেষ পর্যন্ত কলিঙ্গের বুকে শক্তিশালী ওডিশা এফসিকে পরাজিত করে এই সর্বভারতীয় ফুটবল ট্রফি জয় করেছিল মশাল ব্রিগেড। সেই নিয়ে খুশির আমেজ দেখা গিয়েছিল সমর্থকদের মধ্যে। এক্ষেত্রে তৎকালীন অধিনায়ক ক্লেটন সিলভার পাশাপাশি দলের হয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন স্প্যানিশ তারকা বোরহা হেরেরা (Borja Herrera)। বলতে গেলে এই হাইপ্রোফাইল ফুটবলারের দৌলতেই সেবার মাঝমাঠের দখল ছিল মশাল ব্রিগেডের হাতে।
Also Read | ক্লাব সদস্যদের উদ্দেশ্যে বিশেষ বিবৃতি জারি সবুজ-মেরুনের
এমনকি গতবারের ডুরান্ড কাপের ফাইনালে ও মাঠে থাকাকালীন দলের হয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল এই তারকার। কিন্তু গত সিজনের মাঝামাঝি সময় থেকেই বদলাতে শুরু করে পরিস্থিতি। দ্বিতীয় উইন্ডোতে তাঁকে ছেড়ে দেয় ইস্টবেঙ্গল। তারপর থেকেই যেন মাঝমাঠের প্রায় কঙ্কাল সার চেহারা দেখা দেয় লাল-হলুদের। সাউল ক্রেসপোর মতো তারকা ফুটবলাররা দলে থাকলেও বোরহার অনুপস্থিতি যথেষ্ট প্রভাব ফেলতে শুরু করে দলের অভ্যন্তরে। অপরদিকে বোরহা হেরেরারা মতো ফুটবলারকে দলে নিতেই মাঝমাঠ চাঙ্গা হয়ে ওঠে মানোলো মার্কুয়েজের এফসি গোয়ার।
Also Read | ভারত-পাক যুদ্ধ পরিস্থিতিতে সম্ভবত বাতিল হচ্ছে এশিয়া কাপ
যার প্রভাব লক্ষ্য করা যেতে শুরু করে ব্যাপকভাবে। এবারের ইন্ডিয়ান সুপার লিগে দলের সাফল্যের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল বোরহা হেরেরার। শেষ পর্যন্ত টুর্নামেন্টের সেমিফাইনালে বেঙ্গালুরু এফসির কাছে পরাজিত হয়ে ছিটকে যেতে হলেও গোয়ার সকল ফুটবলারদের পারফরম্যান্স সহজেই মন জয় করেছিল সমর্থকদের। তবে সেই হতাশা ভুলে এবারের কলিঙ্গ সুপার কাপ থেকেই ঘুরে দাঁড়ানোর লক্ষ্য ছিল দেশের প্রথম ডিভিশনের এই ফুটবল ক্লাবের। তবে লড়াইটা খুব একটা সহজ ছিল না তাঁদের জন্য। কিন্তু তবুও একের পর এক ম্যাচে অনবদ্য পারফরম্যান্স করতে থাকে গোয়া শিবির।
Also Read | মুম্বাইয়ের ফুটবলারের দিকে নজর একাধিক ক্লাবের, আগ্ৰহ দেখাবে ইস্টবেঙ্গল?
এমনকি গত সেমিফাইনাল ম্যাচে শক্তিশালী মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট দলকে হারানোর ক্ষেত্রে ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন বোরহা হেরেরা। এই স্প্যানিশ তারকার পা থেকে এসেছিল বিশ্বমানের একটি গোল। সেই জাদু বজায় রাখাই এখন অন্যতম লক্ষ্য মানোলোর। কিন্তু লড়াইটা যে সহজ হবে না সেটা ভালো মতোই জানেন সকলে। তবে খালিদ জামিলের শক্তিশালী জামশেদপুর এফসিকে পরাজিত করে এই খেতাব জয় করেই সিজন শেষ করতে মরিয়া সকলে। এক্ষেত্রে আরও একবার নিজেকে প্রমাণ করার লড়াই বোরহার। গত বছর লাল-হলুদ জার্সিতে সুপার কাপ জয়ের সেলিব্রেশনে দেখা গিয়েছিল এই তারকা ফুটবলারকে।
কিন্তু এবার বদলেছে সময়। বদল হয়েছে দল। কিন্তু আজ ও মাঝমাঠের অন্যতম ভরসার নাম বোরহা হেরেরা। এবারেও সেই সাফল্যের ধারা বজায় থাকে কিনা সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।